দিনহাটা কলেজে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন জগদীশ। ১৯৯৯ সালে কোচবিহারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা, প্রয়াত মন্ত্রী কমল গুহ’র হাতে রাজনীতির হাতেখড়ি তাঁর। তিন বিঘা আন্দোলন, দিনহাটা গুলিকাণ্ডে প্রথম সারিতে থেকে আন্দোলন করেছিলেন জগদীশ। ২০১১ বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। এরপরে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৬ এবং ২০২১ জয়ী হন তিনি। ২০২১ সালে জেলায় বিজেপির উত্থানের মাঝেও নিজের সিতাই বিধানসভা ধরে রেখেছিলেন মাস্টারমশাই। রোজ সকালে গ্রিন টি-তে চুমুক দেওয়াটা দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেটা সেরেই সাত সকালে বেরিয়ে পড়ছেন প্রচারে। বেশিরভাগ সময়ে হেঁটেই প্রচার করছেন তিনি। বিভিন্ন এলাকায় ছোটখাটো পথসভাতেই জোর দিচ্ছেন তিনি।
কোচবিহার পুনরুদ্ধারে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জেলা পার্টি অফিসে বসে দলের সব স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় জগদীশচন্দ্রকে হিরের টুকরো বলে সম্বোধন করেছেন। কোন মন্ত্রে বিজেপিকে হারানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি?
বসুনিয়া বলছেন, ‘এ তো সরল পাটিগণিত। মানুষ তো ভোট দেয় জনপ্রতিনিধিকে পাশে পাওয়ার জন্য। গত পাঁচ বছরে এমপি-কে তো পাননি এলাকার বাসিন্দারা। নিশীথ প্রামাণিক উল্লেখযোগ্য কোনও উন্নয়ন করেননি। রাজ্যের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিই তো আম নাগরিকদের লাইফলাইন।’
কোচবিহারে দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে লোকসভায় ভালোমানুষ প্রার্থীর উপরেই ভরসা করেছে তৃণমূল। নিশীথ প্রামাণিক প্রার্থী হওয়ায় বিজেপির একাংশ নাকি গোপনে যোগাযোগ রাখছেন জগদীশের সঙ্গে। বিজেপির প্রচারে তাদের রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ পিঠ দেখিয়েছেন। অন্যদিকে রাজবংশী নেতা বংশীবদন প্রচারে নেমেছেন জগদীশের হয়ে।
চড়া রোদে প্রচারের ধকল এড়াতে হালকা খাবারেই ভরসা রাখছেন তিনি। ছোট মাছের পাতলা ঝোল আর ডাল-ভাত। তবে সঙ্গে লেবু তাঁর চাই-ই চাই। তবে পোড়খাওয়া জগদীশ জানেন, লেবু চটকালে কী হয়। হাসিমুখে তিনি বলছেন, ‘সঠিক নিয়ন্ত্রণই সব। সাকসেসের সিক্রেট এটাই।’