এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন হেরিটেজ সম্মান সরায় আমি উদ্ধার করি। মেট্রোর ডিভিশন তৈরি করি। এখন গেরুয়া রঙ লাগাচ্ছে।’ রাজ্যে সভা করতে এসে একাধিকবার সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে সরব হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। এদিন পালটা সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘একটা সন্দেশ পেয়েছে। প্ল্যান করে তৈরি করেছে। একটাও খুন হয়নি। আমাদের লোককে গ্রেফতার করেছি। কিন্তু, বিলকিস বানুর ঘটনায় কেন অপরাধীকে ছাড়়া হল! কেন হাথরাসের সময় আপনাকে দেখা যায়নি। মণিপুরে যখন মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছিল তখন কোথায় ছিলেন?’
নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে একযোগে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের পর সবাইকে বেছে বেছে জেলে ভরব। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ‘লটকা দেঙ্গে’। বলি কী বাংলায় এসব হয় না। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশে হতে পারে। বাংলা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’ এদিন কেন্দ্রকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘কেন বাংলায় টিম পাঠাচ্ছেন? কিছুই তো পাননি? কেন বাংলা থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। আগে ভাবতাম জিএসটি হলে আমাদের লাভ হবে। সাহস থাকলে গুজরাটের একশো দিনের রিপোর্ট পেশ করুন। চোরের মায়ের বড় গলা। বিজেপিকে বাংলা চৈত্র সংক্রান্তি করব।’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ দিয়েছে? মোদীর গ্যারান্টি জুমলাবাজি। বিজেপিকে দেখলে বলবেন, ঘর ঘর মে শোর হ্যায়, বিজেপি চোর হ্যায়।’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের একবার ‘বঞ্চনা’-র অভিযোগে সরব হন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কেন প্রধানমন্ত্রী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করলেন না?’