তৃণমূল নেতারাও ভোটের মরশুমে ‘ডায়মন্ড-অস্ত্র’ হাতছাড়া করতে চাইছেন না। সুযোগ পেলেই তাঁরা বিজেপিকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে সেখানে এখনও পদ্ম-প্রার্থীর হদিশ নেই। শুক্রবারই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্যকে ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার আগে অভিষেক নিজেই অমিত শাহকে ওই কেন্দ্রে ভোটে লড়ার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ইডি ডিরক্টর, এনআইএ ডিরেক্টর, সিবিআই ডিরেক্টর, চাইলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ডায়মন্ড হারবারে এসে লড়তে পারেন। আমার কোনও সমস্যা নেই।’
রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘যদি আমাদের দিল্লির নেতারা ঠিক সময়ে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিতেন, তা হলে তৃণমূল এত কিছু বলার সুযোগই পেত না। সিপিএম, আইএসএফও প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। আমরা চুপচাপ বসে আছি।’ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। পরে অবশ্য তিনি ব্যাক গিয়ার মেরে দলের অন্য একজনকে ওই কেন্দ্রে লড়তে পাঠিয়েছেন। শনিবার জঙ্গিপুর, বনগাঁ, তমলুক, কৃষ্ণনগর – এই চার কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আইএসএফ।
এখন প্রশ্ন হলো, কবে দিল্লি থেকে ঘোষণা হবে ডায়মন্ডের বিজেপি প্রার্থীর নাম? কেনই বা এতদিন সময় লাগছে? সদুত্তর নেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। বরং দিল্লিতে বসে শাহ, জেপি নাড্ডারা ডায়মন্ড নিয়ে কী ছক কষছেন, তা ঠাহরই করতে পারছেন না এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা। বিজেপির রাজ্য কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘এমনটা নয় যে এই কেন্দ্রে আমরা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছি না। দলের অনেকেই অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সেলিব্রিটিও আছেন। রাজ্য থেকে সবার নামই দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। দেখা যাক, কবে ডায়মন্ড রহস্যের সমধান হয়।’ বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে রহস্য জিইয়ে রেখে বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী ঘোষণা ডায়মন্ড ছকেই হবে।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির এই ‘ডায়মন্ড ছক’ আদৌ সাড়া ফেলতে পারে কি না, এখন সেটাই দেখার।