শনিবার ফুরফুরা শরিফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে থেকে তারা প্রার্থী করতে চলেছে মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মাহিকে।মাহি নিজেও একজন চাকরিপ্রার্থী। ২০১৬ সালে সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে থাকা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে মামলা করেছিলেন তিনি। কলকাতায় উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের যে ধরনা হয়েছিল সেখানেও ছিলেন মাহি। এবার ভোটময়দানে নামলেন তিনি। ‘আইনের দোহাই দিয়ে নিয়োগ আটকে রয়েছে’, প্রার্থী হওয়ার পরেই এই মন্তব্য শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে। এখানেই শেষ নয়, এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীদের কথা মেলে ধরব। এই কেন্দ্রে সেই পরিবেশ রয়েছে। তমলুকে চোর, আইনজীবী, প্রাক্তন বিচারপতি সকলে আছেন।’
চাকরিপ্রার্থী এবং প্রাক্তন বিচারপতির ভোট লড়াই দেখার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। কিন্তু, মাহিকে ISF -এর প্রার্থী ঘোষণা করার বিষয়ে বিশেষ আমল দিতে নারাজ BJP প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও আসন থেকে ভোটে লড়তে পারেন। প্রচারও করতে পারেন। এর জন্য কেউ আলাদা করে কোনও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তিনি তাঁর মতো করে প্রচার করবেন। আমরা আমাদের মতো করে প্রচার করব। আমি চাইব শান্তিতে, নির্বিঘ্নে ভোট হোক। মানুষ বেছে নেবেন তাঁরা কাকে চায়ছেন।’
তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীকে ভোট যুদ্ধে নামানোর বিষয়টিকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি।। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিচারপতির কুর্সি ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘দুর্নীতি’-র বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনি রাজনীতিতে পা রাখছেন এবং রাজনীতিতে সৎ লোকদের প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অনেকেই তাঁকে ‘মসিহা’-র জায়গায় বসিয়েছিলেন। তাঁর রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে সমালোচনা শোনা গিয়েছিল চাকরি প্রার্থীদের একাংশের কণ্ঠেই। এখন দেখার জীবনের প্রথম ভোট যুদ্ধে কি তিনি জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন?