মিছিল শেষে রায়গঞ্জ পৌর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি মন্দিরে পুজো দেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাবুল সুপ্রিয় রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘BJP-র সাংসদ এখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। পাঁচ বছরে কী কাজ করেছেন, তার রিপোর্ট কার্ডও বের করতে পারেননি।’
অপরদিকে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘BJP সাংসদই তো এখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। BJP-র এমন অবস্থা যে দিলীপ ঘোষকেই তাঁকেই খড়গপুর থেকে দুর্গাপুরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এর একটা কারণ থাকতে পারে যে তিনি খড়গপুরে গোরুর দুধ থেকে সোনা পাচ্ছিলেন সেটা শেষ হয়ে গিয়েছে হয়তো। তাই তাঁকে দুর্গাপুরের গোরুর কাছে পাঠানো হয়েছে। ওঁর সঙ্গে আমার চিরকাল অম্ল মধুর সম্পর্ক।’
একইসঙ্গে বাবুলের সংযোজন, ‘ যখন আসানসোল থেকে আমাকে নানা ভাবে অন্য জায়গায় পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল আমি জোরের সঙ্গে বলেছিলাম ওখানে যা কাজ করেছি আমি ১০০ শতাংশ জিতব। আর যদি হেরেও যাই সেখান থেকে পালাব না। আপনারা নিজেরাই দেখে নিন যে ওদের সাংসদ নিজের এলাকায় একটা রিপোর্ট কার্ড পর্যন্ত বার করতে পারেন না।’
অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে দুই অভিযুক্ত জঙ্গির বাংলা থেকে গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। পালটা আক্রমণ করে বাবুলের মন্তব্য, ‘বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডের অপরাধী এতগুলো রাজ্য টপকে বাংলা পর্যন্ত এল কী করে? ব্যর্থতাটা কার? যখন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল তখন বেঙ্গালুরু পুলিশ কী করছিল? NIA কী করছিল?’