অশুভ শক্তি বিনাশের জন্যেই হাতে ত্রিশূল। দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাবার কাছ থেকেই ত্রিশূল লাভ হল। যখনই পাপ ও অশুভ শক্তির প্রভাব বেড়েছে তখনই বাবা হাতে ত্রিশূল তুলে নিয়েছেন। তাণ্ডব নৃত্য করেছেন। আমার কুলদেবতা মহাদেব। তাঁর প্রেরণায় ত্রিশূল নিয়ে অভিযান করে স্বচ্ছ ভারত ও স্বচ্ছ রাজনীতি করতে চাই। ত্রিশূল তার প্রতীক।’
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয়। জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘শিব আমাদের সকলের শক্তির প্রেরণা। তবে ওঁরা কখনও রামকে নিয়ে, কখনও শিবকে নিয়ে ধর্মের রাজনীতি করছেন।’ তাঁর কথায়, আমরা এই ধরনের রাজনীতির বিরোধিতা করি। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
নববর্ষের সূচনার দিনে আজকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হচ্ছে রাজ্যে। রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে। যদিও, পয়লা বৈশাখের দিন বাংলা দিবস পালনের জন্য আপত্তি জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে। বিষয়টি নিয়ে দিলীপ এদিন জানান, তৃণমূল চলে গেলে দিনটাও চলে যাবে। পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস কী ভাবে হলো আমরা জানি না। পয়লা বৈশাখ কবে শুরু হয়েছে সেটাও ওঁরা জানেন না। পশ্চিমবঙ্গ কবে শুরু হল এটাও জানেন না। পশ্চিমবঙ্গকে মিটিয়ে দিয়ে বাংলা করার চেষ্টা করছেন।
লোকসভা নির্বাচনের আবহে বর্তমানে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রচার সারছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৯ তারিখ প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। গতকাল, শনিবার জলপাইগুড়ির একটি সভা থেকে দর্শকদের উদ্দেশে জানান, তৃণমূল কংগ্রেস কাজ করলেও বিজেপিকে কেন ভোট দেন জনগণ। বিজেপি কী করেছে? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এর পালটা জবাব দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল বলেই তো আজকে লোকের বাড়ি শৌচালয় তৈরি হচ্ছে। রেশন পাচ্ছেন বিনামূল্যে।’ কৃষকেরা টাকা পাচ্ছেন। ভ্যাকসিনও পেয়েছেন। ১২ বছর মমতা ব্যানার্জিকে ভোট দিয়ে কি পেয়েছেন? তাঁর কথায়, ‘একটা রাস্তাঘাট বানাতে পারেনি। চুরি-জোচ্চুরি, দুর্নীতি, মহিলাদের ওপর অত্যাচার এসবই পেয়েছেন টিএমসিকে ভোট দিয়ে।’