মহাবিদ্যালয়ের এই মিনি সংগ্রহশালায় ১৯৩৬ সালের আনন্দবাজারের রামকৃষ্ণ শতবার্ষিকী সংখ্যা, ১৯৫০ সালের যুগান্তরের নেতাজী সংখ্যা, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের দি স্টেটসম্যান, টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রও স্থান পেয়েছে। এছাড়াও উদয়নারায়ণপুরের গড়ভবানীপুরের খননকার্যে পাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র বেলজিয়ামের কাচের জগ, পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়কে লেখা জমিদার রামপ্রসন্ন রায়ের চিঠির অনুলিপিও রাখা হয়েছে মহাবিদ্যালয়ের মিনি সংগ্রহশালায়।
মহাবিদ্যালয় সূত্র খবর, সংগ্রহশালায় রায়বাঘিনী রানী ভবশঙ্করী, রাজা উদয়নারায়ণ রায়, কবি রায়গুনাকর ভারতচন্দ্র, মাধবীলতা দেবী, উলুবেড়িয়ার প্রথম সাংসদ ডাঃ সত্যবান রায়, শিল্পদোগী আলামোহন দাশকে নিয়ে তৈরী করা হয়েছে উদয়নারায়ণপুরের স্মরনীয় ব্যাক্তিত্ব ডিসপ্লে বোর্ড। এর পাশাপাশি ১৩ টি মন্দির, জমিদার বাড়ির ছবি ও বিবরণ উদয়নারায়ণপুর ও পাশ্ববর্তী এলাকার ঐতিহ্য ও পুরাকীর্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে সুদৃশ্য ডিসপ্লে বোর্ড।
যেখানে রাখা থাকছে উদয়নারায়ণপুর ও বিধিচন্দ্রপুরের জমিদার বাড়ি, গড়ভবানীপুরের গোপীনাথ ও মনিনাথ মন্দির, আসন্ডা শ্রীধর জিউ , পেঁড়ো ভারত চন্দ্রের স্মৃতি মন্দির, আঁটপুর বিবেকানন্দের সন্ন্যাস গ্রহণের ধুনীকুন্ড, বর্ধমান রাজের আমলে দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র নির্মিত রাধা গোবিন্দ মন্দির, তারকেশ্বর শৈবমঠ সহ বিভিন্ন ছবি। হিসাবরক্ষক সুখেন্দু চন্দ্র ও পিতা কাশীনাথ চন্দ্রের ব্যাক্তিগত সংগ্রহ করা এইসব জিনিস মিনি সংগ্রহশালায় স্থান পেয়েছে।
মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ অরবিন্দ ঘোষ জানান, যে কোনও গবেষণার কাজে, আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চায় উৎসাহী ছাত্রছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা ও সংস্কৃতি প্রেমীরা কলেজে আসতে পারেন। আগামী দিনে এই সংগ্রহশালায় পড়ুয়াদের ভিড় বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। উদয়নারায়ণপুর সহ গোটা হাওড়ার ইতিহাস জানতে এই সংগ্রহশালা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলেই জানালেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।