রবিবার জঙ্গিপুর থেকে নওশাদকে বহরমপুর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, রাজ্যের ৪২টা আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো যে অর্থের প্রয়োজন, সে অর্থ আমাদের নেই। তবে শুধু বহরমপুর নয়, আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্র নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। বহরমপুরে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে ISF স্তরে। নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘ডায়মন্ড হারাবারে খেলা হয়েছে। তৃণমূলের দালালি করতে ডায়মন্ড হারবার থেকে পালিয়ে এসে মুর্শিদাবাদে হানা দিয়েছে আইএসএফ।’ সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্নেলন থেকে সরাসরি নওশাদ সিদ্দিকিকে নিশানা করেন অধীর।
অধীর বলেন, ‘যেখানে ধোঁয়া দেখবেন সেখানে আগুন থাকবেই। ডায়মন্ড হারবারে খেলা তো একটা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে আমরা কেউ দাঁড়াতে চাইনি। সব রকমের সমর্থন দেব বলেছিলাম। কিন্তু ওখান থেকে পালিয়ে এল। ওরা হল ভোট কাটুয়া।’ তাঁর আরও দাবি, জঙ্গিপুরে কংগ্রেস জিতছে বুঝেই তৃণমূলকে সাহায্য করতে ডায়মন্ড হারবার থেকে পালিয়ে এসে জঙ্গিপুরে প্রার্থী দিল ISF।
প্রসঙ্গত, সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতার সময় প্রাথমিক ভাবে ৮ থেকে ১০টি আসন নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে ISF এর। আসন সমঝোতা না হওয়ায় দুই তরফেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল। ISF নিজেদের গণ্ডি পেরিয়ে বেশ কিছু আসনের দাবি করছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম। অন্যদিক, সিপিএমের তরফে আসন নিয়ে সহযোগিতা করা হয়নি বলে জানায় ISF। তবে, গোটা পর্বে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা ছিল না। এবার, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার লড়াই আরও বাড়ল বিরোধী শিবিরে। ফলত, বহরমপুর, জঙ্গিপুরের মতো আসনগুলোতে লোকসভা নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।