সে অফিসের মধ্যে বসে থাকা উমাশংকর চৌহানকে গুলি করে খুন করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেই কুলটি থানার পুলিশ আসে। এরপর গুলিবিদ্ধ উমা শঙ্কর চৌহানকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই অফিসের কর্মীরা বলেন, ‘এক দুষ্কৃতি এসে উমা শঙ্কর চৌহানকে লক্ষ্য করে পরপর ৪/৫ রাউন্ড গুলি করে। সেই গুলিতে জখম হয়ে অফিসের মধ্যে লুটিয়ে পড়ে উমাশংকর।’’
জানা গিয়েছে, এই ঘটনার কয়েক মিনিট আগে এক যুবক অফিসে এসে একজনের খোঁজ করছিল। কিন্তু ওই নামে অফিসে কেউ থাকে না বলা হলে ওই যুবক চলে যায়। তারপরেই মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই যুবক আসে। ঠিক ভোটের মুখে এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ওই অফিসের কর্মীরা আরও জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক কাজের জন্য চেন্নাই গিয়েছিলেন উমা শঙ্কর। রবিবার সেখান থেকে ফেরেন তিনি। এরপর অফিসে কাজের খোঁজখবর নিতে অফিসে আসেন সকালে। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎ ওই আগুন্তক ঢুকে পড়ে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে গুলি চালাতে শুরু করে।
যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। ওই সংস্থার আশেপাশে সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত আততায়ী ধরা হবে বলে আশ্বাস পুলিশে। তবে, আগামী ১৩ মে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। তার আগে এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গোটা কুলটি এলাকা জুড়ে।
