উক্ত টিকিট পরীক্ষকের সন্দেহ হওয়াতে দুই যুবকের কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চান। দুই যুবকের কাছ থেকে পরিচয় পত্র দেখার পর স্নেহাশিস চক্রবর্তী বুঝতে পারেন দুই যুবকের টিকিট পরীক্ষকের পরিচয় পত্র জাল। সন্দেহ হওয়ায় জিআরপি ও আরপিএফের শরণাপন্ন হন তিনি। আটকে রাখা হয় দুই জনকে। তাঁরা আদৌ টিকিট পরীক্ষক কিনা, রেলের কর্মীদের তালিকায় তাঁরা রয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করা হয়। এরপরেই জানা যায়, ওই দুই যুবক আদৌ রেলের স্টাফ নন। তারা আসলে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক
এরপরেই তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত যুবকের মধ্যে একজন বাঁকুড়ার বাসিন্দা নাম সৌরভ দাস, অপরজন রামপুরহাটের বাসিন্দা শশীকান্ত মণ্ডল। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। এদের পেছনে আরও বড় কোনও চক্র কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখছে রেল পুলিশ। ধৃত দুই যুবককে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধরার পড়ার ঘটনা এই নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার শিয়ালদা বিভিন্ন শাখায় ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধরা পড়ে। কিছুদিন আগেই বালিগঞ্জ স্টেশনে চার ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধরা পড়ে। এদের মধ্যে তিনজন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এবং একজন জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে জানা যায়। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের টিকিট পরীক্ষকদের একটি বিশেষ দল আরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে বালিগঞ্জ স্টেশনে টিকিট পরীক্ষা করছিলেন যাত্রীদের। সেই সময়ই এই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের ধরতে পারা যায়।