প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে দফায় দপায় চোলাই মদ উদ্ধার হয়েছে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিছুদিন আগে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে সিদ্ধেশ্বরীর কালসাপা নদী সংলগ্ন এলাকায় চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান আবগারি দফতরের কর্মীরা। তবে প্রাথমিকভাবে অভিযানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। আর তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে আবগারি দফতরের কর্তাদের মনে। সেই সময় তাধের নজরে আসে একটি নৌকা। এরপরেই তাঁরা নৌকা নিয়ে নদীর অপর পাড়ে চলে যান। আর সেখানকার একটি জলাভূমি থেকে বিপুল পরিমাই চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই বিষয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলার আবগারি দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অমৃতা কর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আবগারি দফতরের লাগাতার অভিযানে চোলাই বিক্রি কমে যাওয়ায় সরকারি মদের দোকানে বিক্রি বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারও কিছুদিন আগে কিছুদিন আগে হাওড়ার বাগনানেই চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আরও এক অভিনব পরিস্থিতির সম্মুখিন হন আবগারি দফতরের কর্তারা। গাছের উপর থেকে ১৮০ লিটার চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাজেয়াপ্ত হওয়া চোলাইয়ের বাজার মূল্য ছিল প্রায় ১ লাখ টাকা। সেই সময় জানা যায়, বাগনানের আবগারি দফতরের ওসি মইদুল ইসলামের নেতৃত্বে দফতরের কর্মীরা খাদিনান এলাকায় অভিযান চালান। যদিও অভিযান চলাকালীন প্রথমে সেভাবে চোলাই উদ্ধার হয়নি। এরপর আবগারি দফতরের কর্মীরা রোদের হাত থেকে বাঁচতে এাকারই একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকার সময় আচমকা ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো কিছু একটা তাঁদের গায়ে পড়তে থাকে। প্রথমে তাঁরা বৃষ্টির ফোঁটা মনে করলেও পরে তা থেকে চোলাই মদের গন্ধ বের হতেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। উপর দিকে তাকাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় আবগারি দফতের কর্তাদের। তাঁরে দেখেন গাছের মগডালে সারি গিয়ে বাঁধা রয়েছে চোলাইয়ের প্যাকেট।