রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এ দিনের মঞ্চ থেকে ব্যারাকপুরে ঐক্যবদ্ধ তৃণমূলের বার্তা যেমন দিলেন পার্থ ভৌমিক, তেমনই প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নতুন ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করলেন। এ দিনের মঞ্চ থেকে প্রার্থী পার্থ জানান, ভোটে জিতে ব্যারাকপুরে গুন্ডারাজ বন্ধ করা যেমন তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য, তেমনই দলীয় ইস্তেহারের বাইরে ব্যারাকপুরের জন্য তাঁর মাথায় কয়েকটি পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনার একেবারে প্রথমেই রয়েছে ব্যারাকপুরের বেকার শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের জন্য নিখরচায় নামী কোনও সংস্থার সাহায্যে সরকারি চাকরির প্রস্তুতির ব্যবস্থা করা।
সেই সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে চওড়া হওয়ার ফলে রাস্তার দু’ধারে একাধিক শিল্পদ্যোগের মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া চটশিল্পের শ্রমিকদের জন্য লড়াই করে পুনরুজ্জীবিত করা, ঐতিহাসিক ব্যারাকপুরের গঙ্গার ধার বরাবর সৌন্দর্য্যায়নের মাধ্যমে পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলা, নৈহাটির বড়মার মতো করেই শ্যামনগর মুলাজোড় কালী মন্দির এবং আমডাঙা কালীবাড়িকে পর্যটনের মানচিত্রে প্রবেশ করানোর কথাও এ দিন জানান তিনি।
ইছাপুর নবাবগঞ্জ এলাকায় নোয়াপাড়ার প্রয়াত কংগ্রেস বিধায়ক মধুসূদন ঘোষের মতো নেতা যিনি সাইকেল চালিয়ে এলাকায় ঘুরতেন তাঁকে সম্মান জানাতে তাঁর একটি মূর্তি তৈরির পরিকল্পনার কথা বলেন পার্থ। এ দিন উপস্থিত দলের নেতাদের নতুন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেন পার্থ ভৌমিক। তাঁর কথায়, ‘নতুন ভোটাররাই আগামী দিনে দেশের পিলার৷ দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আগামী দিনে তাঁরাই বড় ভূমিকা পালন করবেন।’