বিজেপি সমর্থকদের মন জয় করার চেষ্টায় এ দিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে ডায়লগ বলতে বললে, বলে দেবো, তবে রাজনীতি আমি বুঝি না।’ প্রবল গরমের মধ্যেও মাঠে তিলধারণের জায়গা ছিল না এ দিন। হঠাৎ মিঠুন বলে ওঠেন ‘কাবুলিওয়ালাকে মনে আছে? ওই রহমত খানের মতো পাঠানদের আজ দেশের বড়ই প্রয়োজন। আফগানিস্তান তাঁর দেশ হলেও, বুকের পাটা নিয়ে তিনি ভারতকে ভালোবেসেছিলেন। তবে আমি এখন জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি এখন শুধু ছোটো ছোটো ইঁদুর খুঁজে বেড়াই।’ শুনেই হাততালিতে ফেটে পড়েন উপস্থিত জনতা। যাঁদের সিংহভাগই ছিলেন মহিলা।
এ দিন বেলা বারোটা থেকে আলিপুরদুয়ারে দলীয় প্রার্থী মনোজ টিগ্গাকে নিয়ে এক রোড শো-য়ে যোগ দেন মিঠুন। তখন থেকেই গরম বাড়তে শুরু করে। পথের দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা কাতারে কাতারে মানুষের দিকে কৃতজ্ঞতায় হাত নাড়েন নায়ক। এরই মধ্যে রটে যায় যে, প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু ওই রটনা উড়িয়ে দিয়ে জটেশ্বরের জনসভায় হুঙ্কার ছাড়েন মহাগুরু। বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কোনও সমস্যা নেই। কে বা কারা রটাচ্ছে জানি না।’
মিঠুনের অসুস্থতা নিয়ে যে জল্পনা ছড়িয়েছে, সেই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি জয়ন্ত রায় বলেন, ‘তিনি এক মুহূর্তের জন্যও অসুস্থতা অনুভব করেননি। বরং তাঁর র্যালির গাড়িতে রাখা জল গরম হয়ে যাওয়ায় আলিপুরদুয়ারের লিচুতলার চৌধুরী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ওই বাড়ির ঠান্ডা জলে হাত-মুখ ধুয়েছেন মাত্র। মিঠুন চক্রবর্তী অসুস্থ হয়ে পড়লে, তা কখনও চাপাঢাকা দেওয়া যেত? তারপরেও তিনি ৫০ কিলোমিটার সড়ক পথ পেরিয়ে জটেশ্বরে সভা করতে পারতেন? এসবই রটনা।’ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও মিঠুনের অসুস্থতার সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।