জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই নিরামিষ খাবার খাচ্ছিল ওই ছাত্রী। পাশাপাশি বাড়ির সবাইকেও নিরামিষ খাবার জন্যও জোর দিচ্ছিল সে। সারাক্ষণ নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে থাকত এবং পূজার্চ্চনা করত। এমনকী বাড়ির সমস্ত বাসনও পরিবর্তন করে ফেলার জন্য বাবা মাকে বলতে থাকে সে। কিন্তু তার বাবা আর্থিক সমস্যার কথা জানালে, অনলাইনে খাবার এনে খাওয়া শুরু করে ওই ছাত্রী। যদিও ছাত্রীর বাবার দাবি, ওই খাবারের টাকা হয়ত অন্য কেউ বা কারা দিচ্ছিল। মেয়ে সাধু সন্ন্যাসী বা ওই ধরনের কোনও চক্রের ফাঁদে পড়েছে বলেই মনে করছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
ছাত্রীর বাবা জানান, মেয়ে মাস দুয়েক ধরে সারাক্ষণ ঠাকুর এবং পুজোপাঠ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ঘর বন্ধ করে ঠাকুর নিয়ে পড়ে থাকত, নিরামিষ খাবার খাচ্ছিল এবং পরিবারের সকলকে নিরামিষ খাওয়ার জন্য জোরাজোরি করছিল। রান্নার বাসনপত্র সমস্ত বাদ দিয়ে নতুন করে কেনার কথা বলছিল, কিন্তু এই মুহূর্তে সেই সামর্থ্য নেই বলায় মেয়ে অভিমান করে গত কয়েকদিন ধরে বাইরে থেকে অনলাইনে খাওয়ার বুক করে খাচ্ছিল। এরই মধ্যে গত রবিবার ভোররাতে মেয়ে হঠাৎ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়।
এই বিষয়ে ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘মনে হচ্ছে মেয়ে কোনও চক্রের খপ্পরে পড়েছে। কারণ মেয়ে অনলাইনে বুক করে যে খাবার আনত তার বিল পে করা হয়েছে এক অপরিচিত ইউপিআই আইডি থেকে।’ মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই এখন ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছে গোটা পরিবার। ছাত্রীর বাবা মায়ের একটাই দাবি, সুস্থ অবস্থায় তাঁদের কাছে ফিরে আসুক মেয়ে। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবারের তরফে মালদা থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে। সেই মিসিং ডায়েরির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।