Ram Navami 2024 : রাম কার? ভোটের মুখে তরজা শাসক-বিরোধীর – birbhum bjp and tmc are engaged in politics around ram navami


হেমাভ সেনগুপ্ত, সিউড়ি: বৈশাখের প্রবল গরমে শুধু ভোট সত্য নয়, রাম নামও সত্য বীরভূমে। আজ বুধবার রামনবমী ঘিরে রাজনীতিতে মেতেছে সব দল। বাদ শুধু বামেরা। তারা রাম নিয়ে মাতামাতিকে ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে মন্তব্য করেছে। সিউড়ি লাগোয়া কড়িধ্যা গ্রামে সঙ্ঘের শাখা সংগঠন হিন্দু জাগরন মঞ্চের শোভাযাত্রায় কয়েক বছর আগে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় দেশজুড়ে সংবাদ শিরোনাম উঠে এসেছিল বীরভূম।সেই থেকেই জেলা জুড়ে রামনবমীর শোভাযাত্রাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি। প্রতি বছর জেলা জুড়ে ৫-৬টি শোভাযাত্রা বের হলেও এ বার ভোট বাজারে সেই উন্মাদনা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে তাই বিজেপির অনুদানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা, রামের নামগান, খিচুড়ি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এ বছর সিউড়ির সব চেয়ে বড় শোভাযাত্রা বের হবে কড়িধ্যা গ্রাম থেকেই।

রামলালার মূর্তির ১৫ ফুটের কাটআউট নিয়ে দুবরাজপুরে শোভাযাত্রা বেরোবে। রামপুরহাট, নলহাটি, বোলপুরে বড় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন জায়গায় শোভাযাত্রার সময় আলাদা করা হয়েছে। কিন্তু শাসকদলের কী পরিকল্পনা? ইতিমধ্যে তৃণমূল তাদের নির্বাচনী বৈঠকে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে, এলাকায় রামনবমীর উৎসবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে।

সদর সিউড়িতে রামের ধনুকধারী মূর্তির কাটআউট নিয়ে মিছিল করবে তৃণমূল। এই প্রথম এতবড় আয়োজন। ১৪ ফুটের বিশাল কাটআউট তৈরি করিয়েছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। রামের মূর্তির কাটআউট নিয়ে তাঁর নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হবে। থাকছে ৫০টির বেশি লোকশিল্পীর দল। রণপা নৃত্য, আদিবাসী নৃত্য, ঘোড়া নাচ, ঢোল বাদক দল, মুখোশ নৃত্যের দেখা মিলবে তাদের রামনবমীর শোভাযাত্রায়। তবে থাকবে না কোনও দলীয় পতাকা।

Ram Navami 2024 : রাম নামে দ্বন্দ্বে মমতা-মোদী, কমিশনে অভিযোগ ইয়েচুরির

বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘রাম সবার। তাই দলের সব স্তরের কর্মী সদস্যদের আগ্রহকে সম্মান দিতে এই শোভাযাত্রা। মানুষের ভালোবাসাকে মর্যাদা দিতে এ বার জেলা জুড়ে রামনবমী পালন করা হবে ঘটা করে।’ কংগ্রেসের রামপুরহাট শহর সভাপতি শাহাজাদ হোসেন তাঁর নিজের ওয়ার্ডে রাম-লক্ষ্মণ-হনুমানের ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শহরবাসীকে। কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রসিদও চুপ করে বসে নেই। তিনিও রামনবমীর শুভেচ্ছা বার্তা দিতে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন করেছেন।

বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘আমরা তো রাম অনুগামী প্রকাশ্যে বলি। কিন্তু ভোট বাজারে রাম নিয়ে রাজনীতি করতে রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হবে না।’ সিপিএম অবশ্য রামনবমী নিয়ে সব দলের ঝাঁপিয়ে পড়াকে নোংরা রাজনীতি বলে আক্রমণ করেছে। দলের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে ভোট-বাজারে আড়াআডি লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল ও বিজেপি। রামের কাটআউট কে কত বড় করেছে, শুরু হয়েছে লড়াই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *