২০১৯-এর ভোটে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ ছিলেন বালুরঘাটের হেভিওয়েট ক্যান্ডিডেট। তাঁর বিরুদ্ধে আনকোরা সুকান্তকে নিয়ে তেমন উচ্ছ্বসিত ছিলেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু বরাবরের মুখচোরা সুকান্তর হাতেই তারকা-পতন হয় বালুরঘাটে। আর সাংসদ হওয়ার পর থেকে সুকান্তর জীবনে শুধুই উত্থানের গল্প। প্রথমে সিকিমে দলের পর্যবেক্ষক করা হয় তাঁকে।
এর পরে উত্তরবঙ্গে দলের কো-কনভেনর। রাজ্য দখলের স্বপ্ন দেখা বিজেপির কার্যত ভরাডুবি হয় গত বিধানসভা ভোটে। তার পরে দিলীপ ঘোষকে দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিল্লির কর্তারা সুকান্তের হাতেই তুলে দেন বঙ্গ বিজেপির ভার। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকান্ত এমন উড়ানের কথা ভেবেছিলেন কি না জানা নেই। তবে রাজ্যে দলের ভালো-মন্দের দায়ভার যে এখন তাঁরই, তা বিলক্ষণ জানেন সুকান্ত। ক্লাস এইটেই আরএসএস-এর সংস্পর্শে আসেন।
সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক আরও পোক্ত হয়েছে। সেই সূত্রেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের চোখে পড়া। প্রথমে শাখার দায়িত্বে, পরে ‘জেলা সম্পর্ক প্রমুখ’। গত পাঁচ বছরে আরও একটি সম্মান অর্জন করেছেন তিনি। লোকসভায় সবথেকে বেশি প্রশ্ন করার নজির তাঁর দখলে। জেলা এবং রাজ্যের ইস্যু বারবার নজর আনতে চেয়েছেন। সাংসদ কোটার টাকায় কোথায় কোন প্রকল্প হয়েছে, তা-ও নখদর্পণে। রীতিমতো রেকর্ড-বুক হাতে প্রচারে বেরোচ্ছেন।
তীব্র গরমে যখন চরাচর পুড়ছে, তখনও তাঁর নাকি তেমন অসুবিধে হচ্ছে না। কারণ চেনা মাঠঘাটে এ ভাবে চলার অভ্যাস তাঁর বহু দিনের। সেই চেনা মাঠে এবার ফসল তুলতে পারবেন তিনি? লাজুক হেসে সুকান্ত বলেন, ‘সবে তো শুরু। পুরোটা দেখুন কী হয়!’