প্রসঙ্গত সম্প্রতি দেশে চালু করা হয়েছে সিএএ। আর প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিএএ রাজ্যে লাগু করতে দেওয়া হবে না। বিভিন্ন প্রচার সভাতে গিয়েও এই বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এমনকী সিএএ-এর মধ্যে দিয়েই এনআরসি করা হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সিএএ এবং এনআরসি-কে মাছের মাথা ও লেজের সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি।
এদিকে পালটা বিজেপির তরফে বারেবারেই দাবি করা হয়েছে, সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার নয়, নাগরিকত্ব প্রদান করার আইন। এমনকী সিএএ কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না বলেও কিছুদিন আগে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাজ্যে প্রচার এসে সিএএনিয়ে মুখ খোলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝান হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নাগরীকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হয়েছে গোটা দেশে। এর পরে দেশের মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই রাজ্যেও ছবিটা খানিকটা তেমনই। রাজ্যের বনগাঁ, রানাঘাটের মতো লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে একটা বড় অংশের ভোটার মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। সেই মতুয়া ভোটারদের একটা অংশ সিএএ লাগু হওয়ায় অত্যন্ত খুশি। একই ছবি দেখা গিয়েছে হুগলিতেও। ওই লোকসভা কেন্দ্রতেও ভোটারদের একটা অংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের। সেই সমস্ত মতুয়া ভোটারদের একটা অংশও সিএএ লাগু হওয়ার পরে খুশি প্রকাশ করেন।