পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অগ্নিমিত্রা পলের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে রিসিভ কপি দেয় পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘সমস্ত ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হচ্ছে। থানায় ঢুকে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একটি এফআইআর লঞ্চ করা হয়েছে।’
বুধবার মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় যান অগ্নিমিত্রা পল-সহ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। থানায় দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা অরুপ দাস আইসিকে ফোন করেন। ফোন করে রীতিমতো ধমক-চমক দিতে শোনা যায় তাঁকে। তিনি বলতে থাকেন, ‘মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল আপনার থানায় এসেছেন। থানায় আপনি নেই, মেজবাবু নেই। টেবিল অফিসার বসিয়ে রেখেছেন। কেউ তো আসুন। এভাবে একজন বিজেপি প্রার্থী, প্রদেশ সম্পাদিকা, আসানসোলের বিধায়ককে বসিয়ে রাখতে পারেন না। কী ভাবছেন? জমিদারি পেয়েছেন? কী ভেবেছেন? থানা বন্ধ করে দিতে পারি। থানায় তালা ঝুলিয়ে দিতে পারি। আপনি আমাদের ভালো ভাবেই জানেন।’
ফোনে আইসি-র সঙ্গে কথা বলেন অগ্নিমিত্রা পল। পরে ডিউটি অফিসারকে অভিযোগের কপি দিয়ে রিসিভ করে দিতে বলেন। তিনি রিসিভ না করায় বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘রিসিভ না করলে আমি যাবই না। আমি এফআইআর দিচ্ছি, আপনি রিসিভ করুন। পাব্লিকের কাজ করার জন্য আপনি এখানে আছেন। আপনার কথা আমি শুনতে আসিনি।’
পুলিশ আধিকারিককে ধমক দেন তিনি। ধমকান বিজেপি নেতা শঙ্কর গুছাইতও। পরে থানার বাইরে গিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন প্রার্থী-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে অগ্নিমিত্রা পল তালা খুলে দেন। পুলিশ অভিযোগ রিসিভ করে।