আগামীকাল থেকে শুরু লোকসভা নির্বাচন। এই রাজ্যেরও ৩টি আসনে হতে চলেছে ভোটগ্রহণ। তার আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের জামুড়িয়া এলাকা। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমা মজুদ ছিল, তা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে, এর তদন্ত হওয়া উচিত। এই নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।জানা গিয়েছে, রামনবমীর সন্ধ্যায় জামুরিয়ার সিদ্ধপুরের বাগদিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরো বাড়ি। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যে বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই বাড়ির সদস্যা রায়ধনী শীল জানান, বিস্ফোরণের সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বিস্ফোরণে পর সব ছড়িয়ে ছটিয়ে পড়ে। তাঁর মেয়ে তাঁকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে পৌঁছন। ওই মহিলার দাবি, পাশের বাড়ি ছাড়া আর কারও সঙ্গে তাঁদের কোনও বিবাদ নেই। পাশের বাড়ির লোকজনেরা মাঝে মধ্যে তাঁদের নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করলেও, তাঁরা চুপই থাকেন।
যদিও এই ঘটনায় বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা মজুদ ছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘বাগদিয়া গ্রামে বিদজেপি নেতা কাজল গড়াইয়ের বাড়িতে বোমা মজুদ করে রাখা হয়েছিল। বোম বাঁধতে গিয়ে সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, বাড়ি উড়ে গিয়েছে, একটা ভয়ানক ব্যাপার। রামনবমীর দিনে অশান্তি ও সন্ত্রাস তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। ঝুলির থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা? বিজেপি খনি অঞ্চলে ভোটে অশান্তি করার ষড়যন্ত্র করছে। রামনবমীর দিন অশান্তি হতে পারে আমরা আগেই খবর পেয়েছিলাম। আমাদের দলের কর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। প্রশানকেও আমার অনুরোধ করেছিলাম। প্রশাসনও সক্রিয় ছিল। এর প্রকৃত তদন্ত হওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশনকেও আমরা জানিয়েছে।’
যদিও এই ঘটনায় বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা মজুদ ছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘বাগদিয়া গ্রামে বিদজেপি নেতা কাজল গড়াইয়ের বাড়িতে বোমা মজুদ করে রাখা হয়েছিল। বোম বাঁধতে গিয়ে সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, বাড়ি উড়ে গিয়েছে, একটা ভয়ানক ব্যাপার। রামনবমীর দিনে অশান্তি ও সন্ত্রাস তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। ঝুলির থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা? বিজেপি খনি অঞ্চলে ভোটে অশান্তি করার ষড়যন্ত্র করছে। রামনবমীর দিন অশান্তি হতে পারে আমরা আগেই খবর পেয়েছিলাম। আমাদের দলের কর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। প্রশানকেও আমার অনুরোধ করেছিলাম। প্রশাসনও সক্রিয় ছিল। এর প্রকৃত তদন্ত হওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশনকেও আমরা জানিয়েছে।’
যদিও তপন শীল নামে যার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে, তাঁর অবশ্য দাবি, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। পালটা তৃণমূলের অবশ্য দাবি, বিজেপিই পরিকল্পতিভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রসঙ্গত, রামনবমীতে রাজ্যে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে নাম না করে বিজেপিকেই নিশানা করেছিলেন তিনি। আর এবার দেখা গেল সেই রামনবমীর সন্ধ্যাতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গেলে জামড়িয়ায়।