পাল্টা দিনহাটার বাবুপাড়ায় নিজের বাড়িতে বসে উদয়ন বলেন, ‘দলের রাজ্য কমিটিকে গোটা বিষয়টা জানিয়েছি। আমি বুথে বন্দি থাকলে যদি নির্বাচন শান্তিতে হয়, হোক। কিন্তু স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে কমিশনকেই।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমাকে বন্দি করে রাখার মানে আমি যাতে বিজেপির উপরে নজরদারি চালাতে না পারি, সেটাই কৌশল। আগে রাজ্য ও কেন্দ্রের পুলিশ দিয়ে নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি তল্লাশি করে দেখাক নির্বাচন কমিশন।’
দিনভর এনিয়ে বিতর্কের পরে সন্ধেয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, উদয়ন গুহর উপর আলাদা করে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। কোনও অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা নেই তাঁর বিরুদ্ধে। সকলের জন্য যা নিয়ম প্রযোজ্য, উদয়নের ক্ষেত্রেও তাই-ই। কমিশনের বক্তব্যের অর্থ, ভোটের দিন আর সকলের মতো নিজের বিধানসভা এলাকার বাইরে বেরতে পারবেন না দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক। রাতে উদয়ন বলেন, ‘এখনও কমিশনের কোনও চিঠি পাইনি। আমি আমার মতো সকাল সাড়ে আটটায় বেরবো।’
কয়েক দিন আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে উদয়নের সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর দাবি ছিল, উদয়ন গুহর নেতৃত্বে বারবার কোচবিহারে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। ভোটের দিনও একইরকমভাবে সন্ত্রাস হতে পারে। অবশ্য এদিন নিশীথের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনে জোড়াফুলের তরফে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে, নিশীথ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে কোচবিহারে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।
পাশাপাশি তিনি তাঁর বাড়িতে বেআইনিভাবে দুষ্কৃতী ও অস্ত্র মজুত করে সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেইমতো কমিশন যাতে পদক্ষেপ করে, তারও আর্জি জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে। যদিও এনিয়ে নিশীথ আর কোনও মন্তব্য করেননি।