নির্বাচন কমিশন কয়েক দিন আগে মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি বদল করেছিল। তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। এদিন তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমি যদি জিজ্ঞেস করি, বিজেপির কমিশনকে—রামনবমীর আগের দিন কেন আপনারা হঠাৎ ডিআইজিকে সরিয়ে দিলেন? এই প্ল্যান করার জন্য যে, পরের দিন নাটক করে বেড়াবে?’ তাঁর সংযোজন, ‘ডিআইজিকে চেঞ্জ করার কোনও প্রয়োজন ছিল? কাল তো মুর্শিদাবাদে নির্বাচন নেই। লোকটা জেলাটা চিনত। এই জেলাগুলো খুব সেনসিটিভ। অনেক কষ্ট করে সামলাতে হয়।’
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য অশান্তির জন্য তৃণমূল নেতৃত্বকেই অভিযুক্ত করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এদিন শুভেন্দু লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনামূলক ভাষণে দুষ্কৃতীরা উৎসাহিত হয়েছে। কারণ, তারা (দুষ্কৃতীরা) জানে, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করবে না।’ রামনবমীতে যে অশান্তি হয়েছে, তার জন্য এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গত বছরও রামনবমীতে কয়েকটি জায়গায় অশান্তি নিয়ে এনআইএ তদন্ত করছে।
যদিও মমতার প্রশ্ন, ‘জিজ্ঞেস করুন, হাওড়ায় বিজেপির প্রার্থী অস্ত্র নিয়ে সকালবেলা কোর্টের অর্ডার না মেনে মিছিল করেছিল কেন? তার ছবিও তো আমাদের কাছে আছে। মিছিল তো আমাদের লোকেরাও করেছে। আমরা মিছিল শান্তির জন্য করি।’ মুর্শিদাবাদে রামনবমীর অশান্তিতে গেরুয়া শিবিরের হাতেই পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে বলে মমতা তাঁর মোবাইল থেকে একটি ছবি ইসলামপুরের সভায় জনতাকে দেখান। তাঁর কথায়, ‘মোট ১৯ জন আহত হয়েছে। ওসি-ও আহত হয়েছে। আমার কাছে ছবি আছে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকদের।’
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা বক্তব্য, ‘যেখান থেকে ইট-পাথর-বোমা ছোড়া হয়েছে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার বদলে যারা ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে, পুলিশ তাদেরই আক্রমণ করেছে।’ বিজেপির তরফেও এ দিন একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে পুলিশের ‘ব্যর্থতা’ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও মমতার সাফ কথা, ‘অ্যাটাক করলেন আপনারা, ওসিকে মারলেন আপনারা! এই সব করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করলেন, বিজেপির এমএলএ-কে মেরেছে।’
মুর্শিদাবাদে অশান্তি নিয়ে অধীর চৌধুরীর সঙ্গেও বিজেপি নেতাদের প্রবল বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে। অশান্তিতে আহতদের দেখতে বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অধীর। সেখানে বিজেপির কিছু কর্মী গো-ব্যাক স্লোগান দেয়।