পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতাহাটার দোরো কাশীপুর এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। একটি সাইটের মাধ্যমে বিকাশ কুমার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তরুণীর কিছুদিন আগে আলাপ হয়। বিকাশ নিজেকে পাইলট বলে দাবি করে এবং ফ্রান্সের নাগরিকত্ব নিয়েছে বলে জানায়।
ওই তরুণী প্রলোভনে পড়েন। কয়েকদিন আগে বিকাশ দিল্লি এয়ারপোর্টে নেমে তরুণীকে হঠাৎ ফোন করেন। কোনও একটি কারণে এয়ারপোর্ট অথরিটি বিকাশকে ফাইন করেছে বলে দাবি করে এবং ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা চেয়ে পাঠায়। তরুণী মিনিট কুড়ির মধ্যে টাকা পাঠিয়ে দেন। এরপরই ফের তরুণীর কাছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চেয়ে ফোন করে বিকাশ নামের ওই ব্যক্তি। তরুণীর ওই ঘটনায় সন্দেহ হতেই বিকাশকে বিভিন্ন আইডি প্রুফ চেয়ে পাঠান।
কিন্তু, বিকাশ কোনও সাড়াশব্দ না করায় তরুণী বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার খপ্পরে পড়েছেন। পরে টাকা চেয়ে ফোন করতে গিয়ে দেখেন বিকাশের নম্বর থেকে তাঁকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
বর্তমানে সাইবার প্রতারণার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত ঘটনা ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাম্পেন করেও চালানো হচ্ছে প্রচার।
এই মুহূর্তে বিয়ের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম এই ধরনের অ্যাপ। সাধারণত সেখানে সুরক্ষার আঁটসাঁট ব্যবস্থা থাকে। আইডি কার্ড আপলোড করা থেকে শুরু করে একাধিক পরিচয় পত্র ভেরিফিকেশন হয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক তরুণী। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই প্রত্যেকের বিপরীত প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে যাচাই করে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে তার পরিচিতি। তা না হলে প্রতারণার ফাঁদ সর্বত্র অহরহ।’