সন্তোষ সরকার ২০১৪ সালে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। আর এখন ওই কেন্দ্রেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিশিষ্ট কবিয়াল তথা হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। কদিন আগেই অসীম সরকার দলের কর্মীদের একত্রিত হওয়া বা অভিমানে দল থেকে দূরে সরে রয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লেখেন, আর সেই চিঠি ভাইরাল হয়।
এরপরই রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সন্তোষ রায়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রশ্ন। সন্তোষ সরকার জানান, বাংলা ও বাঙালি বিরোধী বিজেপি নেতাদের জমিদারী মনোভাবে বীতশ্রদ্ধ হয়ে এবং বাংলা ও বাঙালীদের রক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর যে ধারাবাহিক লড়াই তাকে কুর্ণিশ জানিয়ে তৃনমূলে যোগদান করলাম। তিনি বলেন, ‘আগামীদিনে বাংলার স্বার্থ রক্ষার কাজ করবো তৃণমূলের হাত ধরে।’
বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করে তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে এনআরসি চালু করা দরকার।’ তাঁর কথায়, সব অনুপ্রবেশকারী মালিক হয়েছে বিজেপিতে। আর আমাদের মতো যারা আদি বিজেপি, আমাদের লাথি খেয়ে ভাগতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার একটি ছড়ার মাধ্যমে বলেন, ‘বলে করে বোঝানো যায় না বুঝলে তার আত্মজ্ঞান। সন্তোষ বাবুর দৃষ্টায় রুচি তাই পদ্মে অসন্তোষ। তাই পদ্ম ফেলে চোরের দলে গিয়েছে সন্তোষ।’ প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নাম ড. শর্মিলা সরকার। তিনি পেশায় মনোরোগ চিকিৎসক, তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি দাঁড় করিয়েছে হরিণঘাটা বিধায়ক অসীম সরকারকে।