রচনা জানান, একটি বিয়ে বাড়ি থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাঁকে। বিরিয়ানি খাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রচারে যেতে হবে। তাই এই যাত্রায় আর বিরিয়ানি খাওয়া তাঁর হয়ে ওঠেনি। এদিকে বিরিয়ানি না খেলেও পাত্রীকে আশীর্বাদ করেছেন তিনি।
বিয়ের পাত্রী ইয়াসমীন সুলতানা বলেন, ‘রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে প্রচার করছিলেন। সেই সময় বিয়ে বাড়ি দেখে রচনাদি জানতে চান কার বিয়ে? সেই সময় বাড়ির লোক আমাকে ডেকে নিয়ে আসেন। রচনা আমাকে গোলাপ ফুল দিয়ে আশীর্বাদ করেন। খাবারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু, প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। তবে পরে এসে খেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।’
বলাগড়ের একতারপুর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার চালানোর সময় গ্রামের মহিলার তাঁদের জল কষ্টের কথা বলেন। পানীয় জলের অভাব রয়েছে গ্রামে। পদ্ম পাল নামক এক গ্রামবাসী বলেন, ‘আমাদের গ্রামে জল নেই। আমরা জলের জন্য মরে যাচ্ছি। দিদিকে বলেছি। দিদি বললেন হবে।’
রচনা বলেন, ‘সকলে ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ দিও। তারপর পাঁচ বছর দেখ আমি কী করি! সবসময় পাশে পাবেন।’ বলাগড়ের একতারপুরের গাজিপাড়া আদিবাসী বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।শাক,ভাত,শুক্তো,ডাল,পটল ভাজা,আলু পোস্ত,আলু পটলের তরকারি,দইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাঁর জন্য। মাটির থালায় কলাপাতা দিয়ে সাজিয়ে খেতে দেওয়া হয় তাঁকে। মাটির বারান্দায় বসে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন রচনা।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা আইটেম ভালোবেসে বানিয়েছে। খুব ভালো খেলাম।’ আলু পোস্ত চেয়ে খেয়ে রচনা বলেন, ‘আমাকে দিতে ভুলে গিয়েছিল। আলু পোস্ত ভালোবাসি। সবই খাই। পোস্ত ছাড়া নিরামিষ খাবার অসম্পূর্ণ। আমি বাঙাল, কিন্তু আলুপোস্ত দারুন লাগে।’