এই গরমে যাতে এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা বাঘেরা কোন ভাবে কষ্ট না পায় সেই কারণে দু’বেলা দীর্ঘক্ষণ ধরে পাইপের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে তাদের স্নান করানো হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন সি ট্যাবলেট এবং ওআরএস জলে গুলে খাওয়ানো হচ্ছে এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টা ধরেই বাঘেদের খাঁচার সামনে বিশালাকার স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসব তো আছেই। তাছারাও বাঘেদের এনক্লোজারের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে বাথ টাব। এবার আরও নতুন তিনটি বাথ টাব তৈরি করা হচ্ছে বাঘেদের জন্য। এছাড়াও প্রাকৃতিক পুকুর রয়েছে বাঘেদের স্নানের জন্য। এনক্লোজারের মধ্যে ছায়ার ব্যবস্থা করতে ছাউনিও করা হয়েছে। বাঘেদের খাঁচার মধ্যে বড় বড় পাত্রে জল রাখা হয়েছে, যাতে নিজেদের প্রয়োজন মত সেই জল খেতে পারে বাঘ।
বাঘেদের শরীরকে শীতল রাখতে এই সমস্ত ব্যবস্থা করা হলেও তাঁদের খাবারের মেনুতে আপাতত অন্য কোন পরিবর্তন করা হয়নি বলেই বন দফতর সূত্রের খবর। তবে দুবেলাই বাঘেদের খাঁচাগুলিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখছেন সেখানকার কর্মীরা। ভেটেরিনারি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপ্রভাত স্বামী বলেন, ‘আমরা সারা দিন বাঘেদের নাইট শেল্টার খোলা রাখছি, যাতে যে কোনও সময় ওরা সেখানে গিয়ে বিশ্রাম নিতে পারে।’ ভেটেরিনারি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। বাঘেদের খাবারের মেনুতে বিশেষ পরিবর্তন না হলেও জলের পরিমান বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং জলে ইলেক্ট্রল পাউডার দেওয়া হচ্ছে।