অন্যদিকে, গতকাল শিখা চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন বুথে যান। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে অশান্তি হয়। সেখানে গিয়ে বিধায়কের সঙ্গে অশান্তি করে বলে জানান মেয়র। শনিবার গৌতম দেব বলেন, ‘গতকাল বিধায়কের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অনেক অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে কেন কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হল না?’
শিলিগুড়ির মেয়রের অভিযোগ, ‘গতকাল বিভিন্ন বুথে গিয়ে শিখা চট্টোপাধ্যায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। অনেকে ভয়ে ভোট দেননি।’ আগামী ২৬ এপ্রিল দার্জিলিং লোকসভায় ভোট। সেদিনও একই ঝামেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে সেদিন পদক্ষেপ করতে বলবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি কথা বলতে পারেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে। তাঁদের সমস্যার কথা শুনে সমাধান করেন তিনি। কিন্তু, আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকা সত্ত্বেও টক টু মেয়র কর্মসূচি জারি করা হয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভায় এবং তাতে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, এমনটাই অভিযোগ করেছিল BJP। শুধু তাই নয়, গৌতম দেবের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ ছিল, মেয়র যেহেতু একটি রাজনৈতিক দলের নেতা, তাই নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি জারি থাকা অবস্থাতে তিনি মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না।