‘তৃণমূল ও বিজেপি আঁতাত হয়ে এই বাংলায় যদি আগামীদিনে জোট সরকার হয় তাহলে অবাক হবেন না’, রবিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। এদিন ওই সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, ‘এদিক ওদিক কথা বলে লাভ নেই দিদি, প্রথমে আপনি বলুন ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে পালালেন কেন? নীতীশ কুমার পালিয়েছিলেন, কারণ নীতীশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দরকার ছিল বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করে। আগামীদিনে এমন ঘটনা ঘটলে সংবাদ জগৎ অবাক হবেন না, যখন কংগ্রেস এবং বামের এই আসন সমঝোতা – নির্বাচনী জোট, এই বাংলায় ভালো ফলাফল করতে পারলে, তাসের ঘরের মতো গোটা তৃণমূল ভেঙে পড়বে। সেইদিন দিদিকে বাঁচার জন্য, মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য, তৃণমূলের যা কিছু অবশিষ্ট, বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করে নীতীশ কুমারের মতো এ বাংলায় দিদির সঙ্গে বিজেপির জোট হয়ে একটা সরকার গঠিত হয়, অবাক হবেন না। রাজনীতিতে সবকিছু সম্ভব।’এই বিষয়ে অধীর আরও বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি বিরাট লড়াই করবে বলে ঘোষণা করল। সেই ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী যা দিল, যাকে সহজে পরাজিত করে খোকাবাবু জয়ী হতে পারে। এটা সমঝোতা, এটা আসন সমঝোতা বলে আমি মনে করি।’ অধীর জানান, বাম ও কংগ্রেসের যে আসন সংঝোতা তা খুবই ফলপ্রসু হতে চলেছে বলে তাঁরা আশাবাদী।
অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমি মুর্শিদাবাদে চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, একটা বুথ যদি তৃণমূল দখল করে দেখাতে পারে, আমি রাজনীতি করা ছেড়ে দেব। বারেবারে ঘুঘুতে ধান খাবে না। যতটা বেশি সম্ভব ততগুলো আসন… গুনে বলি না। আমরা দিদি নই, আমরা মোদী নই, মানুষের দুয়া আশীর্বাদের উপরে ভরসা করে আমরা রাজনীতি করি। বহরমপুরে হারলে অধীর চৌধুরী রাজনীতি থেকে ছুটি নিয়ে নেবে, দিদি শুধু এইটুকু বলুন বহরমপুরে হার মানে দিদির ব্যক্তিগত পরাজয়।’
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের আওতায় একসঙ্গে লড়াই করছে বাম কংগ্রেস। রাজ্যেও আসন সমঝোতার মধ্যে দিয়ে লড়াই করছে কংগ্রেস ও বামেরা। যদিও তৃণমূল অবশ্য ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নেই তাদের। তবে ভোটের পর কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোট এলে তখন বিষয়টা দেখা যাবে। এমনকী দিল্লিতে বাংলাই নেতৃত্ব দেবে বলেও বারেবারে দাবি করতে শোনা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।