বিষয়টি নিয়ে দেবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিন বলেন, ‘হিরণের সিনেমার কেরিয়ার শেষ। এবার পুরো টিকে আছে হেডলাইন রাজনীতির জন্য। আমি দশ বছর ধরে রাজনীতি করছি। সেটা হল সৌজন্যের রাজনীতি।’ দেবের কথায়, হিরণ নিজেই চাপে আছে। তাই উলটো পালটা বলছে। আমি না দাঁড়ালে হিরণ চাপমুক্ত হতো। আমি চাপে নেই। ঘাটালের মানুষ ঠিক করে নিয়েছে কাকে ভোট দেবে। এখন সময়ের অপেক্ষা।
রবিবার হাওড়ায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে হাজির ছিলেন অভিনেতা দেব। আন্দুল রাজবাড়ীর মাঠে আজ জনসভা করেন তিনি। হাওড়া সদরের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করেন। তিনি বলেন, আমি ভোট চাইতে আসিনি। যে দল যে প্রার্থী আপনাদের পাশে থেকেছে, সেই দলের প্রার্থীর জেতা উচিত। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বাঙালীর গর্ব। আজকের রাজনীতি অন্যরকম।
বিজেপিকে আক্রমণ করে দেব জানান, এই নির্বাচন জিতে প্রার্থীরা স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল উন্নয়ন করবে। এটাই হওয়া উচিত। গ্রামীন হাসপাতালের উন্নয়ন করেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে এসেছে। হাওড়ায় প্রথম হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। অনেক স্কুল তৈরি করেছে সরকার। গরীবদের উন্নয়ন করেছে। একাধিক সরকারি প্রকল্প চালু হয়েছে। ধর্ম নিয়ে ভোট চাইতে এলে দেবেন না। দেশে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। কেন্দ্র সরকার কথা দিলেও জিনিসের দাম কমেনি। ২০১১-২৪ সালের মধ্যে রাজ্য সরকারের কিছু প্রকল্প সব বাড়িতে গিয়েছে। তাই একটাও ভোট অন্য জায়গায় নয়। সব ভোট তৃণমূল ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।
এত মানুষের উচ্ছাস দেখে কি মনে হচ্ছে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন? দেবের উত্তর, বিরোধীরা যখন পায়ের তলার মাটি খুঁজে পায় না তখন আক্রমণ করে। তাই বিরোধীদের বলবো মাঠে নামুন। যে দল মানুষের বেশি বিশ্বাস অর্জন করবে সেই দল জিতবে। আমরা যারা কাজ করছি।মানুষের পাশে থাকছি।প্রচুর কাজ হয়েছে। যে দল মানুষের পাশে টিকে থাকবে। সেই দল ভালোবাসা পাবে।