জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নামেই মমতা, স্বভাবে মমতা নেই। মুর্শিদাবাদে প্রচারে এসে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সিএএ লাগুর পক্ষে জোরাল ভাষায় সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রবিবাব লোকসভা ভোটের প্রচারে রানাঘাটে গিয়ে কেন্দ্রকে পাল্টা তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের চাপ দিচ্ছে বিএসএফ, এফআইআর কপি দেখিয়ে দাবি মমতার
কী বলেছিলেন রাজনাথ সিং? মুর্শিদাবাদের সভা থেকে রাজনাথ বলেন, মমতাদি আপনাকে বলতে চাই, আপনি বিদায় নিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সিএএ আমরা লাগু করবই। ধর্মীয় কারণ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের আমরা নাগরিকক্ত দিয়েই ছাড়ব। দুনিয়ার কোনও শক্তি তা রুখতে পারবে না।
রাজনাথের বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রানাঘাটের সভায় বলেন, আপনারা বলুন ২০১৯ সালের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সব মতুয়া ভাইয়েদের আমাদের সরকার নাগরিকত্ব দেবে। কেউ কি নাগরিকত্ব পেয়েছেন? আমি প্রথম দিন থেকে বলেছিলাম সিএএ একটা জুমলা। আজকে আপনারা বুঝছেন? সিএএ একটা জুমলা! পাঁচ বছর আগে পাস হওয়া বিলের নিয়ামাবলী তৈরি হল এবার ভোটের সাত দিন আগে। বিজেপি বলেছিল নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব দেব। এখনওপর্যন্ত কেউ নাগরিকত্ব পায়নি। চল্লিশ পাতার ফর্ম তৈরি করেছে। সেই নাগরিকত্ব আইনে আপনাদের প্রথমে ঘোষণা করতে হবে যে আপনি বাংলাদেশি, আপনি পাকিস্তানি, আপনি আফগানিস্তানে থাকেন। তার পর পরীক্ষা নিরীক্ষা যাচাই হবে। আপনার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট বন্ধ হবে। আপনি সরকারি যেসব সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন তা বন্ধ হবে। তারপর এনআরসি করে আপনাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বিজেপি নেতারা বলছে সিএএ-র পোর্টালে আবেদন করতে। বিজেপির কোনও নেতা সিএএ-র পোর্টালে আবেদন করেছে? কেউ বলতে পারবেন? সিএএ-র জন্য আপনাকে প্রথম বলতে হবে আপনি বাংলাদেশি। সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভোটর কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড বাতিল করে দেবে। বিজেপি বলছে সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এখানে ক্যামেরা রয়েছে। আমি বলছি যারা অ্যাপ্লাই করবে তাদের ৭ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব দিন। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর যদি নোটিফিকেশন করে বলে সিএএ-র পর আর এনআরসি করব না তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএকে সমর্থন করবে। এরা মিথ্যে কথা বলে। এরা জুমলাবাজদের দল। মানুষকে প্রতারণা করে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। আপনার এলাকায় দেখবেন কোনও ভদ্রলোক বিজেপি করে না। সব পাত্তাখোর, চোর, ছ্যাঁচোড়, চিটিংবাজ-সব দুনম্বরি বিজেপিতে। করে খাবার ধান্দা। গত ৫ বছর এরা আপনাদের সঙ্গে গদ্দারি করেছে। বলেছিলে আচ্ছে দিন আসবে, আসেনি। কালোচাকা উদ্ধার হবে, হয়নি। বলেছিল বছরে ২ কোটি বেকারের বছরে চাকরি হবে, হয়নি। বলেছিল নাগরিকত্ব বিল করে আপনাকে নাগরিক বানাবে, পারেনি। আপনারা দেশের নাগরিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন রয়েছেন ততদিন কোনও উদ্বাস্তু ভাইদের, মায়েদের কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে কেউ পারবে না। সবাইকে বলবেন নিশ্চিন্তে থাকতে। এই বাংলায় যতদিন তৃণমূল রয়েছে ততদিন সিএএ, এনআরসি করে বাংলার মানুষকে বাঞ্চিত করতে দেব না।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)