West Bengal News,চাকরি থেকে সন্তান, ‘কামনা’ পুকুরে ডুব দিলেই মনোবাঞ্ছা পূরণ? – people believe that their wish will be fulfilled if they bath in this pond at habra north 24 parganas


গরমের তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে ডুব দিচ্ছেন পুকুরের জলে। মহিলা, পুরুষ, শিশুদের পাশাপাশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও আসছেন জলে নেমে একবার ডুব দিতে। মানুষের বিশ্বাস যে কোনও পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে, তা আরও একবার উঠে আসল এই ঘটনায়। ডুব দিলেই নাকি মেলে চাকরি, সুস্থ হয় শরীর, লাভ হয় সন্তান। আর এই বিশ্বাস থেকেই রবিবার সকাল থেকে হাবড়ার বাণিপুরের ইতনা কলোনীর পুকুরে নামে মানুষের ঢল। প্রায় হাজার খানেক মানুষ ডুব দিলেন এই ‘কামনা’ পুকুরে। দূর দূরান্ত থেকেও মানুষ আসলেন পুকুরের জলে স্নান করে নিজের মনোবাসনা পূরণ করতে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাবাসীদের অনেকেরই বিশ্বাস, এলাকার এই পুকুরের জলে রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। বিশ্বাস নিয়েই এলাকার মানুষজন পুকুর পাড়ে তৈরি করেছেন মন্দির। শুধু তাই নয়, এক ঠাকুরবাড়ি থেকে ১০১ ঘটি জল এনে শোধনও করা হয় এই পুকুর। আর তারপর থেকেই এই পুকুরের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

স্নান করতে আসা ভক্তদের বিশ্বাস, এই পুকুরে ডুব দিয়েই মনোবাসনা পূর্ণ হয়েছে বহু মানুষের। অসুস্থ শরীরও হয়েছে সুস্থ। বেকারত্ব কাটিয়ে মিলেছে চাকরি। লোকমুখে এই মনোবাঞ্ছা পূরণের কথা চাউর হতেই, এদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন এই পুকুরে ডুব দিতে ভিড় করেন মানুষজন। কেউ এসেছেন ব্যান্ডেল, তো আবার বনগাঁ থেকে। স্থানীয় মহিলাদের কারও কারও দাবি, দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছিল এক গৃহবধূকে। মনের ইচ্ছা নিয়ে এই পুকুরে ডুব দিতেই কয়েক মাসের মধ্যে কোলে আসে সন্তান। বিগত কয়েক বছর ধরে মনের ইচ্ছা নিয়ে মানুষজন এই দিন ভক্তি ভরে কামনা পুকুরে ডুব দেন।

এদিন সকাল থেকেই এলাকাবাসীদের দেখা যায় এই পুকুরে স্নান করতে। আট থেকে আশি সকলেই একবার ডুব দিচ্ছেন পুকুরের জলে। পাশাপাশি পুকুর সংলগ্ন মন্দিরেও ভক্তরা মিলিত হন এবং চলে খিচুড়ি ভোগ প্রসাদ বিতরণ। সঙ্গে চলে হরিনাম সংকীর্তন। এদিন এই কামনা পুকুরের মাহাত্ম্য শুনে ছুটে আসেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারও। মন্দিরে পুজো দিয়ে পুকুরের জল মাথায় নিয়ে প্রার্থনা সারতেও দেখা যায় তাকে। সব মিলিয়ে এই দিনের স্নান ঘিরে যেন উৎসবের মেজাজ গোটা এলাকায়। যদিও স্থানীয়দের এই দাবির আদৌ কোনও বাস্তবতা রয়েছে কি না তা যাচাই করে দেখেনি এই সময় ডিজিটাল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *