মিছিল করে গিয়ে মনোনয়ন পেশ
মনোনয়ন পত্র পেশ করার পর বাইরে বেরিয়ে এসে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকা ইউসুফ পাঠান বলেন, ‘এত মানুষ আমার পাশে আছে দেখে খুব ভাল লাগছে। জোরদার লড়াই হবে। উন্নয়নের ইস্যুতেই লড়বে তৃণমূল।’ বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের মনোনয়নের দিন বহরমপুরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যান্ড, তাসা সহ মিছিল করে সোমবার দুপুরে মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিল সামিল হয়েছিলেন। ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে ছিলেন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি, ভরতপুরের বিধায়ক, রেজিনগরের বিধায়ক ও বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান।
দুই প্রার্থীর পরস্পরকে শুভেচ্ছা বিনিময়
দুপুর একটা নাগাদ টেক্সটাইল মোড়ের জেলা তৃণমূল কার্যালয় থেকে মিছিল করে জেলা প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছন ইউসুফ পাঠান। ইউসুফ পাঠানের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এদিন ত্রিস্তর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় প্রশাসনিক ভবন। আর ইউসুফ পাঠান ঢোকার কিছুক্ষণ আগে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসেন বিজেপির চিকিৎসক প্রার্থী নির্মল সাহা। মনোনয়ন কেন্দ্রেই আলাপ হয় দু’জনের। কুশল বিনিময় হয়। বাইরে এসে ইউসুফ পাঠাম বলেন, ‘তিনি (নির্মল সাহা) আমাকে বেস্ট উইসেস জানিয়েছেন। আমিও ওঁকে বেস্ট উইসেস জানিয়েছি।’
এবার জোর টক্কর বহরমপুরে
প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রেরই অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কেমন লড়াই হবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ইউসুফ পাঠান বলেন, সেটা মানুষই ঠিক করবে। তারপর একটু থেমে বলেন জোরদার লড়াই হবে। প্রসঙ্গত, বহরমপুর লোকসভা এবার রাজ্যের মানুষের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই কেন্দ্রে এবারে বেশ টক্কর হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিন দুই প্রার্থী মনোনয় জমাও দিয়ে দিলেন। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় নির্বাচন হতে চলেছে এই কেন্দ্রে।