রবিবার বেলায় কাটোয়ার খাজুরডিহি এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন শর্মিলা। তাঁর কথায়, ‘প্রচার তো করতেই হবে, উপায় নেই। যতটা সাবধানে করা যায়, সেটাই চেষ্টা করছি। কর্মীদেরও সতর্ক করছি।’ তবে বয়স্ক কর্মীদের এই রোদ-গরমে প্রচারে ডাকছেন না তৃণমূল প্রার্থী। কেউ এলেও তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন শর্মিলা।
বলেন, ‘এই গরমে বয়স্কদের বাইরে থাকা একদমই উচিত নয়। তাই বয়স্করা প্রচারে এলে বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছি। এতেই ওঁরা সুস্থ থাকবেন।’ স্থানীয় তৃণমূলকর্মী দিলীপ রায়ের বয়স হয়েছে ৬৮। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী প্রচারে এসেছে বলে গিয়েছিলাম। তবে উনি রোদের জন্য বাড়ি ফিরে যেতে বললেন। তাই রোদে আর ঘুরিনি।’
এদিকে শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে বরাবরই পিটপিটানি রয়েছে দিলীপ ঘোষের। নিয়মিত শরীরচর্চা করে এসেছেন। বর্ধমান শহরে রবিবার সকালের চা চক্রে তাঁর কাছ থেকে গরমে ভালো থাকার টিপ্স চান অনেকেই। প্রার্থী নিজে কী করবেন এবং কর্মীদের কী বলবেন তাও জানতে চান তাঁর কাছে। উত্তরে দিলীপ বলেন, ‘সুস্থরা নিয়ম মেনে চললে অসুস্থ হবেন না। বয়স্ক যাঁরা সুগার, ব্লাড প্রেসারের রোগী তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে। কোভিডের সময়ে তাঁরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন। বয়স্কদের একেবারে রোদে বেরোনো উচিত হবে না।’
বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমরা এখন প্রচার করছি তাই বেরোতে হবে। তবে সবাইকে বলব, সুতির জামাকাপড় পরতে। সঙ্গে শুকনো গামছা বা সুতির গামছা রাখতে যাতে ঘামটা শুষে নিতে পারে। রুম টেম্পারেচরের জল বেশি খাবেন, ঠান্ডা জল নয়। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।’
ডাবের জল, নুন জল, লেবুর জল বা বেলের শরবত নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘তরমুজের মতো সিজ়নের ফল এই গরমে কাজে দেবে। কাঁচা আম পুড়িয়ে খাওয়া যায়। ছাতুর শরবত খান সকালে। মাছ, মাংস, ডিম বেশি খাওয়ার দরকার নেই। অনুষ্ঠানে গেলে বেশি খাওয়া-দাওয়া করবেন না। ইচ্ছা করে সুস্থ শরীরকে ব্যস্ত করবেন না। প্রকৃতির সঙ্গে চলতে হবে, তা হলে সবাই সুস্থ থাকবেন। বাচ্চা এবং বয়স্করা যাতে রোদ্দুরে না বের হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।’