এ ক্ষেত্রে দু’টি প্রশ্ন রয়েছে। প্রথমত, এসএসসি-র সর্বশেষ পরীক্ষা, অর্থাৎ ২০১৬ সালে যে পরীক্ষার্থীরা আবেদন জানিয়েছিলেন (এঁদের মধ্যেই প্রায় ২৬ হাজারের চাকরি গেল সোমবার), শুধু কি তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন? নাকি তার পরে, অর্থাৎ গত আট বছর ধরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যে চাকরিপ্রার্থীরা এসএসসি-র পরীক্ষা না হওয়ায় নিয়োগের কোনও সুযোগই পাননি, সেই নতুন প্রার্থীদেরও কমিশন সুযোগ দেবে? বিষয়টা জানা নেই স্কুল সার্ভিস কমিশনেরও।
কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার নিজেই এ প্রসঙ্গে সোমবার বলেন, ‘আমার কাছেও বিষয়টা এখনও সংশয়ের।’ এ দিকে, ২০১৬ সালে পরীক্ষায় বসা অনেকেরই ইতিমধ্যে সরকারি চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। এখন পরীক্ষা হলেও তাঁরা কোথায় যাবেন, কী করবেন — সে প্রশ্নের উত্তর কারও জানা নেই।
নতুনদের সঙ্গে নিয়োগ-প্রতিযোগিতায় এই পুরোনোরা আদৌ টক্কর দিতে পারবেন কি না, মাস কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দুই বিচারপতিই সে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্রর প্রশ্ন, ‘প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই সৎ ও নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনও যাতে বঞ্চিত না হন, সেটা দেখা অবশ্যই আদালত ও রাষ্ট্রের কর্তব্য।’
যে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা কী করবেন, সে প্রশ্নও উঠেছে। এ ক্ষেত্রে ডিএম-দের বলা হয়েছে, ছ’সপ্তাহের মধ্যে বেতনের টাকা উদ্ধারের কাজ করতে হবে। অনেকেই চাকরির উপর ভিত্তি করে নানা ধরনের ঋণ নিয়েছেন, দায়দায়িত্ব বেড়েছে। এখন কী হবে? এমন অবস্থায় সকলেরই নজর সর্বোচ্চ আদালতের দিকে।