এই সময়: বাংলায় অনুপ্রবেশের দায় কার? এই প্রশ্নে ভোট-বাজারে শুরু হলো নতুন বিতর্ক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অভিযোগ, রাজ্যে অনুপ্রবেশের দায় মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে ভোট প্রচারের মঞ্চ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাওয়াই, এ রাজ্যে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হলে বাংলা থেকে ৩০-৩৫টি লোকসভা আসন দিয়ে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করতে হবে। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, অনুপ্রবেশ আটকানোর দায়িত্ব বিএসএফের। ওই আধা সামরিক বাহিনী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরই অধীন। তা হলে রাজ্যের ঘাড়ে কেন দায় চাপানো হচ্ছে? তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ভোটের বাজারে এ সব কথা আসলে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে বোকা বানানোর কৌশল।
এ দিন মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে রোড শো করেন অমিত শাহ। তার পর রায়গঞ্জে গিয়ে সভা করেন সেখানকার দলীয় প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে। রোড শো এবং সভা- দু’জায়গাতেই তিনি তৃণমূলকে নিশানা করেন।
এ দিন মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে রোড শো করেন অমিত শাহ। তার পর রায়গঞ্জে গিয়ে সভা করেন সেখানকার দলীয় প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে। রোড শো এবং সভা- দু’জায়গাতেই তিনি তৃণমূলকে নিশানা করেন।
সিএএ প্রসঙ্গে শাহ এ দিন বলেন, ‘দিদি এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু কারও ক্ষমতা নেই এটা বন্ধ করার। আপনারা কি চান না, অনুপ্রবেশ বন্ধ হোক? দিদি বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ করান। আপনাদের কি মনে হয়, দিদি এটা বন্ধ করবে? এটা বন্ধ করতে গেলে নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করতে হবে। আপনারা ৩০-৩৫ আসনে পদ্ম ফোটান, তা হলে এটা বন্ধ হবে।’
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ‘তা হলে বলতে হবে বিএসএফ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অথবা তার উপরে নিয়ন্ত্রণ নেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এর দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত অমিত শাহের।’ এ দিন অমিত শাহ বলেন, ‘২০১৯ সালে আপনারা রাজ্যে বিজেপিকে ১৮ আসন দিয়েছিলেন। সেই ক্ষমতায় মোদী রামমন্দির তৈরি করে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ বার রাজ্য থেকে ৩০-৩৫ আসনে পদ্ম ফোটালে রাজ্যে উন্নয়নের ফুল ফুটবে।’