সেজন্য তারা এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি। কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা এদিন জানান, চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ভোটের ডিউটি দেওয়া হবে কিনা, সে ব্যাপারে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে নবান্নের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না পর্ষদ চাকরি নেই বলে বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে, ততক্ষণ কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত কোনও পদক্ষেপ নেবে না। কমিশনের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, ‘ভোটের ডিউটি করার জন্য আমাদের হাতে পর্যাপ্ত রিজার্ভ কর্মী থাকে। যদি প্রয়োজন হয়, তাঁদের মধ্যে থেকে নতুন ভোটকর্মী নিয়োগ করা হবে। সবদিক খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসকরা।’
অন্যদিকে, মধ্যশিক্ষা পর্যদের এক আধিকারিক বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছি। সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেয় সেটা দেখার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এই টানাপড়েনের মধ্যে বিজেপি’র তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের কোনও ভাবেই ভোটের ডিউটিতে রাখা যাবে না। এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সিইও-র সঙ্গে দেখা করে বিজেপি’র এক প্রতিনিধি দল।
সেখান থেকে বেরিয়ে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কোর্টের নির্দেশে যাঁদের শিক্ষক পদ চলে গিয়েছে তাঁদের ভোটের কাজে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।’ তাঁদের বিকল্প হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের মধ্যে থেকে প্রিসাডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি।
এছাড়াও বিজেপি’র তরফে দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিমকে আরও সক্রিয় ভাবে ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ এনে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।