Matua Community,মতুয়া ঠাকুরবাড়ির অশান্তির ঘটনায় অভিযুক্তদের রক্ষাকবচ, পুলিশের ভূমিকায় অসস্তুষ্ট হাইকোর্ট – calcutta high court dissatisfied on police investigation for matua thakurbari case


মতুয়া ঠাকুরবাড়ির দরজা ভাঙা, অশান্তির ঘটনা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। শান্তনু ঠাকুর এবং মমতা বালা ঠাকুর উভয় একে ওপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এই মামলায় পুলিশের ভূমিকায় অসস্তুষ্ট হাইকোর্ট। পাশাপাশি, শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি, এই মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে।আদালত এদিন জানায়, নাগরিকের অধিকার বিশেষ করে ফৌজদারি মামলায় রক্ষা করা জরুরি। যে ভাবে জয়েন্ট নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাতে আইনের প্রতি ক্যাজুয়াল মনোভাব দেখানো হয়েছে। এই নোটিস খারিজ করা হল। নতুন করে নোটিস পাঠাতে হবে পুলিশকে। তবে যে ভাবে FIR-এ নাম না থাকা সত্ত্বেও শান্তনু ঠাকুরের বাবাকে ডাকা হয়েছে তাতে আগামী দিনে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হবে পুলিশকে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে বলেও জানানো হয়। ১০ মে পরবর্তী শুনানি। হাইকোর্ট জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

মতুয়া বালা ঠাকুর বাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা ও মারধরের অভিযোগে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা প্রয়োগে বিস্মিত হাইকোর্ট। আরেক সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ শান্তনু গোষ্ঠীর। দুটি পৃথক মামলা হলেও শান্তনু ঠাকুরকে ৪১ এ নোটিস দিয়ে পুলিশ তলব করলেও, কেন তলব নয় মমতা বালাকে, প্রশ্ন আদালতের। বিচারপতির প্রশ্ন, ‘অভিযোগ যখন পেয়েছে পুলিশ, তখন অন্যপক্ষকেও নোটিস পাঠাতে অসুবিধা কি ছিল? দুপক্ষের বক্তব্য শুনতে কে বাধা দিয়েছিল পুলিশকে?’

রাজ্যের কাছে আদালতের আরও প্রশ্ন, শান্তনু গোষ্ঠীর হামলায় উল্টোদিকের কতজন ভক্ত মারধরে কতটা গুরুতর জখম হয়েছেন, কতদিন তাঁরা হাসপাতালে রয়েছেন? কারণ পুলিশ গুরুতর জখমের ধারা যুক্ত করেছে। রাজ্যের তরফে স্পষ্ট জবাব না পাওয়ায় বিরক্ত বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালতের বক্তব্য , অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জয়েন্ট নোটিস পাঠানোর মতো ক্যাজুয়াল কাজ কেউ কখনও শুনেছে? পুলিশের এই মনোভাব থেকে অনেক কিছু ধারণা তৈরি হয়ে যায়।

Mamata Bala Thakur : হরিচাঁদের নামে শপথপাঠ, মমতাবালাকে বাধায় বিতর্ক
রাজ্যের তরফে জানানো হয়, সেদিন দরজা ভাঙার ছবি প্রায় তৎক্ষণাৎ সব টিভি-মিডিয়ায় প্রচার হয়। মারধর করা হয়। এমনকি সিআরপিএফ জওয়ানরাও ভাংচুর চালায়। পাল্টা বিচারপতি জানা, ভাঙচুর করার কোনও ভিডিয়ো বা স্টিল ছবি নেই কেন পুলিশের কাছে? কীসের ভিত্তিতে পুলিশ এত সব শক্ত ধারা যুক্ত করল? দুটো অভিযোগ দাযের হলো কিন্তু পুলিশ অনুসন্ধান ছাড়াই FIR করলো। শান্তনু ঠাকুরদের অভিযোগে শ্লীলতা হানির অভিযোগ ছিল। তাহলে সেখানে ৩৫৪ ধারা কেনো যুক্ত হলো না? পুলিশ দুপক্ষের ক্ষেত্রেই যদি সমান ভাবে এগোতো তাহলে এত মামলা দীর্ঘ হতই না বলে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *