মতুয়া বালা ঠাকুর বাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা ও মারধরের অভিযোগে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা প্রয়োগে বিস্মিত হাইকোর্ট। আরেক সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ শান্তনু গোষ্ঠীর। দুটি পৃথক মামলা হলেও শান্তনু ঠাকুরকে ৪১ এ নোটিস দিয়ে পুলিশ তলব করলেও, কেন তলব নয় মমতা বালাকে, প্রশ্ন আদালতের। বিচারপতির প্রশ্ন, ‘অভিযোগ যখন পেয়েছে পুলিশ, তখন অন্যপক্ষকেও নোটিস পাঠাতে অসুবিধা কি ছিল? দুপক্ষের বক্তব্য শুনতে কে বাধা দিয়েছিল পুলিশকে?’
রাজ্যের কাছে আদালতের আরও প্রশ্ন, শান্তনু গোষ্ঠীর হামলায় উল্টোদিকের কতজন ভক্ত মারধরে কতটা গুরুতর জখম হয়েছেন, কতদিন তাঁরা হাসপাতালে রয়েছেন? কারণ পুলিশ গুরুতর জখমের ধারা যুক্ত করেছে। রাজ্যের তরফে স্পষ্ট জবাব না পাওয়ায় বিরক্ত বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালতের বক্তব্য , অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জয়েন্ট নোটিস পাঠানোর মতো ক্যাজুয়াল কাজ কেউ কখনও শুনেছে? পুলিশের এই মনোভাব থেকে অনেক কিছু ধারণা তৈরি হয়ে যায়।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়, সেদিন দরজা ভাঙার ছবি প্রায় তৎক্ষণাৎ সব টিভি-মিডিয়ায় প্রচার হয়। মারধর করা হয়। এমনকি সিআরপিএফ জওয়ানরাও ভাংচুর চালায়। পাল্টা বিচারপতি জানা, ভাঙচুর করার কোনও ভিডিয়ো বা স্টিল ছবি নেই কেন পুলিশের কাছে? কীসের ভিত্তিতে পুলিশ এত সব শক্ত ধারা যুক্ত করল? দুটো অভিযোগ দাযের হলো কিন্তু পুলিশ অনুসন্ধান ছাড়াই FIR করলো। শান্তনু ঠাকুরদের অভিযোগে শ্লীলতা হানির অভিযোগ ছিল। তাহলে সেখানে ৩৫৪ ধারা কেনো যুক্ত হলো না? পুলিশ দুপক্ষের ক্ষেত্রেই যদি সমান ভাবে এগোতো তাহলে এত মামলা দীর্ঘ হতই না বলে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের।