আগে হাসিটা দারুন ছিল। এখন হাসিটা শুনে লোকে বলে পাগল।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
তাঁর সংযোজন, ‘ভাবছি আজ কী নিয়ে বলি! আমি হাসলেও সমস্যা, না হাসলেও সমস্যা। মিম করলে ঠিক আছে। যে কোনও প্রচারই তো প্রচার। আমি ভীষণ পজিটিভ মাইন্ডের মানুষ। আমি মিম করার বিষয়টির মধ্য়েও পজিটিভিটি দেখি, নেগেটিভ কিছু দেখি না। কারণ যাঁরা এই ধরনের মিম করেন তাঁদের লাইক সাবস্ক্রাইবার দরকার। এটা তাঁদের রুজি রোজগার। আমি তাঁদের সমর্থন করি।’
এদিন জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শোনায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে একশ শতাংশ নিশ্চিত। তাই কোনও টেনশন নেই।’ প্রসঙ্গত, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে বেরিয়ে কখনও দই খেয়ে, সিঙ্গুরের সবুজায়ন নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। কখনও গরম ঘুগনি খেয়ে প্রশংসা করেছেন, আবার কখনও আলু পোস্ত খেয়ে বাহবা দিয়েছেন। আর তা নিয়ে মিম হতে বেশি সময় লাগেনি।
পাশাপাশি সিঙ্গুরে শিল্পায়ন প্রসঙ্গে তাঁর ‘চারিদিকে ধোঁয়ায় ধোঁয়া’ মন্তব্য নিয়ে বিস্তর মিম হয়েছিল। তবে পরে একটি ভিডিয়ো করে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, মিম ব্রিগেড তাও ছাড়েননি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কিন্তু, এই সমস্তকিছু নিয়ে খুব একটা বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ অভিনেত্রী। তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন, এই সমস্ত মিম তিনি দেখেছেন এবং মজাটাকে মজার মতো করে নিয়েছেন। অতিরিক্ত ভাবনা চিন্তা এই নিয়ে করতে নারাজ তিনি। উল্লেখ্য, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ তাঁর একদা সতীর্থ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এখন দেখার নির্বাচনী ফলাফল সামনে আসার পর শেষ হাসি কে হাসেন?