বিষয়টি নিয়ে আজকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই চাকরি কেড়ে নেওয়ার বিষয়। নিজেরা চাকরি দেয় না। আমার খারাপ লেগেছে, বারেবারে বলছে ২৬ হাজার জনকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। বলছে ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। এই ২৬ হাজার ছেলে মেয়ে যাবে যাবে কোথায়? বাংলায় কি স্কুল চলবে না? শিক্ষকের চাকরি কি আর হবে না?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
যদিও, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে, আদালতের নির্দেশের পর চাকরি হারানো সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে রাখছে শিক্ষা দফতর। সঠিক সময় যাতে ওই সব তথ্য কাছে লাগানো যায়, সেই কারণেই আগেভাগ সমস্ত তথ্য তৈরি রাখা হচ্ছে।
যদিও, পুরো বিষয়টি নিয়ে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে শিক্ষা দফতর। স্কুলগুলি থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারি ভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি, তবে, শিক্ষা দফতরের একাংশের মতে, কর্মহীন হয়ে যাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের যাবতীয় তথ্য জেলার ডিআইরা সংগ্রহ করে রাখছেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি শেষ পর্যন্ত চলে গেলে কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে, সে ব্যাপারে প্রস্তুতি সেরে রাখার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসির মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেন। সেই রায় অনুযায়ী, ২৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল হয়ে যায়। এরপরেই গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই, হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন যোগ্য প্রার্থীরা। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে। চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) করেছে এসএসসি