হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল নিয়ে আগেই সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্য়মমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রায় নিয়েই দুদিন আগে ‘বোমা ফাটা’র ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রায় বের হওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে তিনি কী রায় হবে জানলেন কী করে? প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরিহারাদের পরিবারের কারও কিছু হলে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে গিয়ে বিচার চাইবে বলে আক্রমণ মমতার।সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির পুর প্যানেলে বাতিল করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই রায় নিয়েই আগেই সর্ব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পেছনে বিজেপির ষড়যন্ত রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। দুদিন আগেই একটি সভা থেকে এই সপ্তাহে ‘বোমা ফাটবে’ বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর গড়ে দাঁড়িয়েই একটি সভা থেকে মমতা বলেন, ‘রায় বের হবে, ৪৮ ঘণ্টা আগে জানল কী করে? রায় লিখে দিয়েছিলেন।’ মমতা জানান, যাঁদের চাকরি হারিয়েছে, তাঁদের পরিবারের একজনের কিছু হলে তোমার বাড়ির সামনে এসে বিচার চাইবে।
এমনকি, চাকরিপ্রার্থীদের অর্থ ফেরতের বিষয়টি নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, যাঁরা চাকরি করছিলেন, তাঁরা এতদিন শ্রম দিয়েছিলেন। তাহলে শ্রমের বদলে যে টাকা উপার্জন করেছিলেন সেই টাকা তাঁরা ফেরত দেবেন কেন?
বৃহস্পতিবার তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে একটি সভা উপস্থিত থেকেই ফের এই রায় নিয়ে সরব হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই যেমন চলছে, তেমন চলবে। তবে, তমলুকের প্রার্থী দেবাংশুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যাঁদের চাকরি হারিয়েছে, প্রচারে তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কথা মানুষের সামনে তুলে ধরতে।