BJP West Bengal : ‘৩০ এপ্রিল আরও ৫৯ হাজারের চাকরি যাবে’, বিধায়কের দাবিতে শোরগোল, দেখুন ভিডিয়ো – bjp mla controversial comment on ssc recruitment case verdict protested by tmc


চলতি সপ্তাহে ‘বোমা ফাটার’ প্রতীকী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থী চাকরিহারা হন। শুভেন্দু অধিকারীর সেই হুঁশিয়ারির সঙ্গে হাইকোর্টের রায়-এর প্রচ্ছন্ন যোগ রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে বিচার ব্যবস্থার একাংশের এই রায় বলে দাবি তৃণমূলের। এবার, আগেভাগেই বিজেপির আরেক বিধায়ক জানিয়ে দিলেন, আরও ৫৯ হাজার জনের চাকরি যেতে চলছে। আগাম আদালতের নির্দেশ জানিয়ে দিলেন বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা।প্রকাশ্য সভা থেকে বাঁকুড়া জেলার ওন্দার বিধায়ক বললেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিল রাজ্যে আরও ৫৯ হাজার মানুষের চাকরি যাবে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’ যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ভোটের মুখে প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে একেবারে দিন বেধে দিলেন তিনি। তাঁর দাবি, তৃণমূলের জন্য রাজ্যে ২৫ হাজার চাকরি গিয়েছে। আর ৩০ এপ্রিল আরও ৫৯ হাজার মানুষের চাকরি যাবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিধায়কের এহেন বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল ওই বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনায় সরব হয়েছে।


বাঁকুড়ার ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। বারেবারে তাঁর মন্তব্য নিয়ে যেমন রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তেমনই প্রকাশ্যে তাঁর একাধিকবার বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকেও। ভোটের মুখেও তাঁর মুখে শোনা গেল সেই বেলাগাম বক্তব্য। গতকাল সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভার রতনপুরে বিজেপির একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমরনাথ শাখা ২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার জন্য পুরোপুরি তৃণমূলকে দোষারোপ করেন।

বিধায়ক অমরনাথ শাখার দাবি, ‘আগামী ৩০ এপ্রিল এ রাজ্যের আরো ৫৯ হাজার মানুষ চাকরি হারাবেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’ মঞ্চে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে অমরনাথ শাখার যুক্তি, এই বক্তব্য কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য নয়। লোকসভার ফলাফল ঘোষণার পর তৃণমূলে দলীয় কার্যালয় খোলার মতো কেউ থাকবে না। তখন বিজেপি ছাড়া পঞ্চায়েত চালানোর মতো আর কেউ থাকবে না।

‘খিদের জ্বালা বুঝি…’, ২০১৬ সালে SSC দিয়েও মেলেনি চাকরি, যোগ্যদের হয়ে সওয়াল ‘হকার’ বৃষ্টির
বিধায়কের প্রকাশ্যে এহেন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তৃণমূল দাবি, হাইকোর্টের রায় যাই হোক, তা সবসময়ই স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতহীন হওয়া উচিত। হাইকোর্ট রায় দেওয়ার আগেই সেই রায় কীভাবে জেনে ফেলছেন বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব? তলায় তলায় ঠিক কতটা যোগসাজশ রয়েছে? ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থার প্রতি এ এক ভীষণ লজ্জা ছাড়া কিছুই নয়!



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *