গোটা ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় সোনারপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। দেহ আজ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আলপনার বাবা ও মা কাজে চলে যায়। বাড়িতে একাই ছিল সে। বুধবার দুপুর ৩টা নাগাদ সে তার এক বান্ধবীর সঙ্গে রিলস বানাতে যায় এই রোদের মধ্যে। তারপরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। হঠাৎই মাথা ঘুরে পড়ে যায় সে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বাচ্চাটির পরিবার কলকাতার বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে সোনারপুরের রাধাগোবিন্দ পল্লীতে ভাড়া নিয়ে রয়েছে। কিশোরীর বাবা-মা কাজ করেন। এদিন হঠাৎ কয়েকজন বান্ধবীর সঙ্গে বাইরে খেলতে যায় সে। একটি বান্ধবীর সঙ্গে রিলস বানাতে গিয়েই মাথা ঘুরে পরে যায় সে। পথচারী একজন বিষয়টি খেয়াল করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গোটা ঘটনায় ভেঙে পড়েছে তার গোটা পরিবার।
প্রচণ্ড দাবদাহে বাইরে না বেরোনোর ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে বয়স্ক এবং বাচ্চাদের এব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এত গরমের মধ্যে বাইরে গিয়ে রোদের মধ্যে রিলস বানানোর ব্যাপারে কিশোর-যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পরিবারের শিশুদের এ ব্যাপারে বাড়ির গুরুজনদের বিশেষ পরমার্শ এবং সতর্ক করার ব্যাপারেও জানাচ্ছেন অনেকে। গোটা দক্ষিণবঙ্গে আগামী কিছুদিন এই আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর মধ্যে আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়জন বলে জানাচ্ছেন অনেকেই।