হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে যাবতীয় নথি উপাচার্যকে দিতে হবে। তিনি কমিটিকে দিয়ে ওইসব প্রশ্নের সঠিক জবাব কি হতে পারে সে ব্যাপারে নিজেদের মতামত এক মাসের মধ্যে কোর্টকে জানাবেন। ১৯ জুন পরবর্তী শুনানিতে এই ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। বুধবার ২০১৭ সালের টেট প্রশ্নের উত্তর যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে কমিটি গড়ে তাদের মতামত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল এই আদালত।
প্রাথমিকভাবে, প্রাইমারি TET পরীক্ষায় ১৩টি প্রশ্নে ভুল আছে বলে জানা গিযেছিল। এরপর জানা যায়, ১৩ নয় ১৫টি প্রশ্নে ভুল আছে। সেই সংখ্যা বেড়ে ২১টি হয়ে যায়। সবশেষে এখন নতুন করে যে মামলা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন ভুলের সংখ্য়া বলা হচ্ছে ২৩টি। ১৫০টি প্রশ্নের মধ্যে ২৩টি প্রশ্নেই ভুল কী করে হয়, বিষয়টি নিয়ে আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল, কেন প্রশ্ন তৈরির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি? এই প্রশ্নের উপরই হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। প্রশ্নপত্রে এত ভুল কেন? তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় হাইকোর্ট।
আদালত আগেই জানিয়েছিল, এই ভুলের পক্ষে যে বই রয়েছে তার তালিকা তৈরি করে পর্ষদকে দিতে হবে। পাশাপাশি, প্রশ্নপত্রের ভুল যাচাই করতে বিশেষজ্ঞদের পরমার্শ নেওয়ার কথা আগেই বলা হয়েছিল। সেইমতো, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দিয়ে কমিটি গঠন করার ব্যাপারে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আদালত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এই ২৩টি বিতর্কিত প্রশ্নের বাইরে অন্য় কোনও প্রশ্ন নিয়ে নতুন করে আর বিতর্ক তৈরি করা যাবে না।