SSC Recruitment Scam : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়, অযোগ্যদের তালিকা চেয়ে পাঠাল CBI – ssc recruitment scam ineligible candidate details searching started by cbi


কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার কর্মীর চাকরি বাতিল করা হয়েছে। যোগ্যদেরও কেন বাতিল করা হল? এই নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরি প্রার্থীরা। এর মধ্যেই অযোগ্যদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিল সিবিআই। তাঁদেরকে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৫,২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বলে জানতে পারা যাচ্ছে। অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের তালিকা হাতে পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হবে। খুব দ্রুত অযোগ্য প্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু করবে সিবিআই।

গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের স্কুলে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয়। সেইমতো মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এর মধ্যেই দুর্নীতি মামলায় নতুন মোড়। সিবিআই সূত্রের খবর, অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ ছিল, অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সেই কারণেই, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের আলাদা করে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হল। এরপরেই প্রত্যেককে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

‘আমাদের দোষটা কোথায়, চাকরি চলে গেল’ প্রশ্ন চাকরিহারা শিক্ষকের

যদিও, হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। পুরো প্যানেল বাতিল করলে যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা বঞ্চিত হবে। যা, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষা দফতর। সেই কারণে হাইকোর্টের এই রায়কে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। গতকাল, বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে তাঁরা।

SSC Scam : বদল সিস্টেম আর সময়ে, অনিয়মে নয়
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিকেই তাকিয়ে বসে আছেন যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা। অন্যদিকে, ডিআইরা ইতিমধ্যে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি ফর্ম পাঠিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোন স্কুলে কতজন চাকরি হারাচ্ছেন, কোন কোন বিষয়ের শিক্ষকরা সেই তালিকায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা ডিআইদের কাছে সেটা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে থেকেই সেই তালিকা প্রস্তুত করে রেখে দিতে চাইছে স্কুল শিক্ষা দফতর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *