স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্দেশখালির আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়া এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছে সিবিআই এর ১০ সদস্যের একটি দল। এই বাড়িতেই মজুদ করে রাখা আছে প্রচুর বোমা বলে গোপন সূত্রে খবর মেলে। সূত্রে খবরের ভিত্তিতেই এদিন হানা দেয় সিবিআই। বোমা খোঁজার জন্য বিশেষ স্ক্যানারও নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে এই বাড়িটির মেঝে ভেঙে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে সিবিআই। পাশাপাশি বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদেরকেও নিয়ে আসা হয়েছে এই বাড়িতে।
এর আগেও সিবিআই সন্দেশখালিতে তল্লাশি চালিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে গত শনিবার সন্দেশখালিতে এসেছিল সিবিআইয়ের দু’টি দল। একটি দল গিয়েছিল থানায়। আরেকটি দল গিয়েছিল সুন্দরীখালির দিকে। এদিন ফের সিবিআই হানা দিল সন্দেশখালির গ্রামে। যার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, সেই ব্যক্তি শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পারা গিয়েছে। উল্লেখ্য, সন্দেশখালির ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যে তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই। তদন্তের কারণেই একাধিকবার সন্দেশখালিতে যাতায়াত করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্তাহার আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সরবেড়িয়ার মল্লিকপাড়ায় শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়িটি ভেড়ি দিয়ে ঘেরা। বাড়ির সামনে একটি সংকীর্ণ রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তাটিকে যাতায়াতের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর সেই বাড়ির মেঝে খুঁড়তেই প্রচুর অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ পাওয়া যায়। সিবিআই আধিকারিকরা বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের খবর দেন। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে এরপর তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর বোমা উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর থেকে একাধিক তথ্যসূত্র পায় সিবিআই। ধরপাকড় চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই আধিকারিকরা। সেখান থেকে এই ব্যক্তির বাড়িতে অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ পাওয়া গিয়েছি বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অস্ত্র কথা থেকে এল? কেন এইগুলি মজুত করা হয়েছিল, সেই ব্যাপারে খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা।