এ দিন তিনি কলকাতা পুলিশ, সেচ দপ্তর, আবহাওয়া অফিসের প্রতিনিধিদের নিয়ে বর্ষার প্রস্তুতি বৈঠক করেন। বৈঠকে পুরসভার সব মেয়র পারিষদ ও বরো চেয়ারম্যানরাও উপস্থিত ছিলেন। আবহাওয়া অফিসের প্রতিনিধি বৈঠকে জানান, ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কালবৈশাখীর কোনও আভাস নেই। কিন্তু বর্ষা নির্ধারিত সময়ে, জুনের গোড়াতেই আসবে ধরে সব মেয়র পারিষদ এবং ডিজিদের যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ দেন মেয়র। কোন পাম্পিং স্টেশনে কতগুলি পাম্প চলছে, কোথায় নিকাশি-পথ রুদ্ধ, কোন খালের কী পরিস্থিতি–এই সব বিষয়েও বিস্তারিত খোঁজ নেন।
এর পরেই পুরসভার আলো বিভাগকে মেয়র জানিয়ে দেন, বর্ষায় যাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর একটিও ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে। শহরের সব ল্যাম্প পোস্ট পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন মেয়র। ল্যাম্প পোস্টের পাল্লা আটকানো, পরিত্যক্ত বা খোলা মিটার বক্স ঘিরে দেওয়ার কথাও বলেন। আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে এই কাজ শুরু করেছি। বেশ কিছু এলাকায় ফুটপাথে হুকিং চিহ্নিত করে সেই সব সংযোগ বিচ্ছিন্নও করা হয়েছে।’
কোনও এলাকার নিকাশি-পথ কোথাও রুদ্ধ কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্যে নিকাশি বিভাগের আধিকারিকদেরও নির্দেশ দেন মেয়র। গত বছর বর্ষায় খিদিরপুর এলাকায় নিকাশি-পথ রুদ্ধ হয়ে জল জমেছিল, তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।