এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ইডি, সিবিআই, এনআইএ, এনএসজি-র পর এবার কি সন্দেশখালিতে আর্মি? সন্দেশখালিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হচ্ছে। শাহজাহান শেখের মতো সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।’
এনসজি-কে খবর দেয় সিবিআই
এদিন সকালেই সন্দেশখালির সরবেড়িয়া, আগরহাটি মুল্লিকপাড়ার একটি গ্রামে উপস্থিত হয় সিবিআই-এর একটি টিম। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন সিবিআই কর্তারা। সেই সময় বাড়ির মেঝেতে অস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে বলে সন্গেহ হয় তাঁদের। এরপর আরও বড় করে তল্লাশি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের খবর দিয়ে বাড়িটির সমস্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এরপর বাড়ির মেঝেতে বাক্সবন্দি বিস্ফোরক থাকতে পারে বলে সন্দেহ তৈরি হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তাদের মনে। সেগুলিকে উদ্ধারের জন্যই খবর দেওয়া হয় এনএসজি-কে।
রোবট নিয়ে তদন্ত শুরু
খবর পেয়েই সন্দেশখালিতে পৌঁছয় এনএসজি। যে বাড়িতে সিবিআই তদন্ত করেছিল, সেই বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। বাড়িটিতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক জমা রয়েছে বলে সন্দেহ সিবিআই কর্তাদের। যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা থেকেই এনএসজি-কে খবর দেওয়া হয়। বাড়ির পাশাপাশি গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে NSG। নিজস্ব অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও রোবট নিয়ে কাজ শুরু করেন এনএসজি কম্যান্ডোরা। বাড়ির নিচে প্রচুর বিস্ফোরক লোকানো রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই NSG রোবট নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে আদৌ কোনও বিস্ফোরক লোকানো রয়েছ কি না, থাকলেও তা কী ধরনের বিস্ফোরক, সেই সমস্ত কিছুই জানার চেষ্টা করছে এনএসজি।