SSC Recruitment Scam : অযোগ্যদের টাকা নিয়েছেন কারা? উত্তর পেতে চিঠি পাঠালো সিবিআই – cbi sent letter to get list of ineligible candidates name with registration numbers from school education department


এই সময়: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। এই মামলায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে স্বাধীনতা দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশের পরেই স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে অযোগ্য প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন-রোল নম্বর সহ নামের তালিকা পেতে চিঠি পাঠালো সিবিআই।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মূলত খতিয়ে দেখতে চাইছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা কার নির্দেশে, কাকে সেই টাকা দিয়েছিলেন? এবং ওই টাকার ভাগ কারা কারা পেয়েছেন? হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।

অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ৯০ দিনের মধ্যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে তদন্তের কাজ যাতে দ্রুত গতিতে চলে সেই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি বিক্রির তথ্য আগেই পেয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। এ বার অযোগ্যদের চিহ্নিত করতে চাইছেন তাঁরা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বর্তমানে জেলবন্দি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। এদিন তাঁকে বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে সন্তুর ভূমিকা ছিল একজন এজেন্টের। তাঁর সঙ্গে ধৃত অয়ন শীল-কুন্তল ঘোষের আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তে উঠে আসে
SSC Recruitment Scam : এপ্রিলের বেতন পাবেন চাকরিহারারা, জানাল রাজ্য সরকার

নিয়োগের ক্ষেত্রে এই মানি ট্রেল কত দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সন্তুকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। হাইকোর্টের নির্দেশের পরে দিল্লিতে সিবিআইয়ের হেড কোয়ার্টারে লিগ্যাল সেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কলকাতায় সিবিআইয়ের আধিকারিকদের বার্তা দেওয়া হয়, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে নতুন করে অযোগ্যদের নাম-রেজিস্ট্রেশন-রোল নম্বর চেয়ে পাঠাতে হবে।

গত বুধবার চিঠি পাঠানো হলেও এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। যদিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দাবি, তিন দফায় ৫২৫০ জন অযোগ্যর নামের তালিকা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকা অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *