উল্লেখ্য, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালামের এসএসসি নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ-এর নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। এই রায়ের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। যে সব নেতারা অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন, তাঁদের সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারে জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার রাজ্যে চতুর্থ দফায় প্রচারে এসে সেই এসএসসি দুর্নীতির কথা স্বাভাবিকভাবেই উঠে হল নরেন্দ্র মোদীর ভাষণেও। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে চলতি লোকসভা নির্বাচনে জনসাধারণের সমর্থন পেতে সচেষ্ট বিজেপি, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলে। সেই ইস্যুকে আরও চাগিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দিন এই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হন। এমনকি, একদিকে এই রায় নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের দাবি তুলেছে বিজেপি, অমিত শাহ পালটা জানিয়েছেন, এটা হাইকোর্টের রায়। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।
আজ,শুক্রবার মালদা দক্ষিণের বিজেপি লোকসভা প্রার্থীর প্রচারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এর আগে রাজ্যের চার জায়গায় সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি, বালুরঘাট কেন্দ্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হয়েও সভা করে গিয়েছেন তিনি। রায়গঞ্জেও সভা করেছেন। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর রাজ্যে এই নিয়ে চতুর্থ সফর করছেন নরেন্দ্র মোদী।