উল্লেখ্য, শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির পর ধীরে ধীরে থিতু হচ্ছিল সন্দেশখালি। কিন্তু, শুক্রবার সেখান থেকে ফের অস্ত্র উদ্ধার হয়। এরপর থেকেই চর্চায় বসিরহাট কেন্দ্রের এই জায়গা। শুক্রবার সেখানে নামেন NSG কমান্ডোরা। রোবট দিয়ে এলাকা খতিয়ে দেখা হয় কোথাও কোনও বিস্ফোরক রয়েছে কিনা।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ১ জুন বসিরহাট কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সপ্তম দফায় সেখানে ভোট। আর নির্বাচনে যাতে কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটে সেই জন্য আগে থেকেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
বসিরহাট কেন্দ্রকে অতি সংবেদনশীল কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে শনিবার সকালে লোকসভা ভোটের মুখেই মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে বোমাবাজির ঘটনায় শোরগোল পড়ে। আহত হন সাত জন। শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলা ভরতপুর থানার অন্তর্গত সরডাঙ্গা বিন্দারপুর গ্রামের এই ঘটনায় আহত তৃণমূল কর্মীদেরকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। দ্বিতীয় দফার ভোট মিটতেই এই ধরনের বোমাবাজির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
অন্যদিকে, এদিন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাসনাবাদে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। কী কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় কুণাল ঘোষ অভিযোগের আঙুল তুলেছেন BJP-র দিকেই। পুলিশকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।