জেপি নাড্ডা,’রবীন্দ্র সংগীতের বদলে বাংলায় এখন বোমা-বন্দুক শোনা যাচ্ছে’, তোপ নাড্ডার – jp nadda attacks mamata banerjee from his murshidabad campaign for lok sabha election


এবার বাংলায় ভোট প্রচারে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শোনা গেল BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। গত শুক্রবার সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হয়েছিল অস্ত্র, কার্তুজ ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্র সংগীতের বদলে বাংলায় এখন সাধারণ মানুষের হাতে দেখা যাচ্ছে বোমা, বন্দুক। সন্দেশখালিতে তিনটি বিদেশি রিভলভার পাওয়া গিয়েছে। মানুষকে রক্ষা করার জন্য নামানো হচ্ছে এসএসজি কমান্ডো। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বাংলার অবস্থা।’লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় প্রথমবার পা দিলেন BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিন মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের বিপ্রশেখর অঞ্চলের জালিবাগান মাঠে BJP-র সভা ছিল। সেখান থেকেই BJP প্রার্থী নির্মল কুমার সাহার সমর্থন করে একের পর এক বিষয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগেন তিনি।

এদিন সন্দেশখালির ঘটনাকে সামনে রেখে সুর চড়াতে শোনা যায় জেপি নাড্ডাকে। এদিন তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্র সংগীতের বদলে বাংলায় এখন বোমা -বন্দুক শোনা যাচ্ছে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘শেখ শাহজাহানকে আড়াল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা ভাষাতে প্রকাশ করা যায় না। সেখানে যে ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর হামলা হয়েছে তা নিন্দনীয়। যেখানে আগে রবীন্দ্র সংগীত শোনা যেত, সেখানে এখন গুলি বোমার শব্দ শোনা যাচ্ছে। বাংলাকে কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে? ভয় দেখিয়ে ভোটে জিততে চাইছে তৃণমূল। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দরা কি এই বাংলা দেখতে চেয়েছিলেন?’

জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘BJP এখানে ৩৫টির বেশি আসনে জিতবে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার সাধারণ মানুষের জন্য যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে তা এই রাজ্যে চালু করতে দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুযোগ সুবিধা থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।’

‘পাপ বাপকে ছাড়ে না’, শীতলকুচি প্রসঙ্গ টেনে দেবাশিস ধরকে কটাক্ষ অভিষেকের

এদিন জেপি নাড্ডা বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের ঘর থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর মোদীজি সরকারে থাকাকালীন কোনও রকম দুর্নীতি হয়নি। মোদীজির সময় অনেক রাস্তা তৈরি হয়েছে। রেল লাইন হয়েছে। এদিয়ে যাচ্ছে ভারত। মহিলা, দলিত, কৃষক, মজুর সকলেই মোদীকে শক্তিশালী করেছে। গ্রামের উন্নয়ন হচ্ছে। গ্রামের রাস্তা আগের থেকে ভালো হয়েছে। মোদীজি পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছিলেন উন্নয়নের জন্য পঞ্চায়েতগুলোকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *